নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: খুব শীঘ্রই কি দলত্যাগ বিরোধী আইনে সংশোধনী আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার? লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ঘনিষ্ঠ সূত্রে অন্তত তেমনটাই খবর। সূত্রের খবর, সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে এই বিষয়টিতেই জোর দেবেন লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লা।
শুক্রবার সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলন। লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লাই (Om Birla) এদিন এই সম্মেলনের সূচনা করেছেন। দেশের সব রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকাররা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। যদিও বাংলা থেকে কোনও প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিতে যাননি বলেই সূত্রের দাবি। বিধানসভার সচিবালয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, আগামী সোমবার রাষ্ট্রপতি ভোট রয়েছে। সেসব নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন স্পিকার। যদিও এই সম্মেলনের আলোচনার অন্যতম অংশ হিসাবে রয়েছে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ, অসংসদীয় আচরণ, সঙ্গে রয়েছে দলত্যাগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ও। তা রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের পক্ষে কিছুটা অস্বস্তিকর হবে বুঝেই সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিজেপির।
সংসদ (Parliament) সূত্রের খবর, ওম বিড়লা চাইছেন দলত্যাগ বিরোধী আইনের সব অভিযোগের নিষ্পত্তি হোক নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে। স্পিকারদের সম্মেলনে এই বিষয়টিতেই মূলত জোর দেবেন তিনি। এছাড়াও অধিবেশনে সদস্যদের শালীনতা, অনুশাসন, সাধারণ জনতার অংশীদারী বাড়ানো-সহ আইনসভার বিভিন্ন বিষয়ে হবে আলোচনা।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্র দুই সন্তান নীতি আনলে কোনওভাবেই সমর্থন নয়’, মন্তব্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসির]
ওম বিড়লা যেভাবে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন, তাতে আগামী দিনে কেন্দ্র দলত্যাগ বিরোধী আইনে সংশোধনী আনতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, গত একবছর ধরেই বিজেপির অন্দরে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে দলবদলের প্রবণতা যেভাবে বাড়ছে তাতে দলত্যাগ বিরোধী আইনের একটি স্পষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। যদিও এই ধরনের সংশোধনী এলে আসলে বিজেপিই চাপে পড়ে যেতে পারে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অন্য বিরোধী দলের সদস্যরাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: সংসদ চত্বরে কোনওরকম ধরনা-বিক্ষোভ নয়! বাদল অধিবেশনের আগে নয়া ‘ফরমান’]
সূত্রের দাবি, গতবছরই কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির (BJP) অন্দরে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেকারণেই গতবছর বাদল অধিবেশনে লোকসভার অধ্যক্ষ সর্বসমক্ষে বিষয়টিকে তুলে ধরেছিলেন। ওম বিড়লা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রক্রিয়া পালন হওয়া উচিত। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যাতে তারা দলবদল সংক্রান্ত আইন (Anti defection law) সংশোধনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।”