সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনেটের প্রধানকে আমন্ত্রণ জানালেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আগামী ডিসেম্বরে প্রথমবার পিএসি (PAC) গঠনের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পাকিস্তানের সেনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সাঞ্জরানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যা নিয়ে আপাতত রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে।
পিএসি ভারতের প্রাচীনতম সংসদীয় কমিটি। সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি এটিই। আপাতত এর চেয়ারম্যান পদে আছেন অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। বস্তুত, বিরোধী দলনেতাই এই কমিটির চেয়ারম্যান হন। এবছর এই পিএসির শতবর্ষ পূর্তি। সেই উপলক্ষে সংসদ ভবনের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাদিক সাঞ্জরানিকে। সরকারি সূত্রের খবর, এটা নেহাতই সৌজন্যমূলক পদক্ষেপ। পাকিস্তান কমনওয়েলথের সদস্য। আর সংসদের ওই অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথের সব সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ না জানালে তা দৃষ্টিকটু হত।
[আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডের ধাক্কা, পাকিস্তান-সহ তিন দেশের পণ্য আমদানি বন্ধ করল আদানিদের বন্দর]
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমানে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যেভাবে ষড়যন্ত্র করছে, যেভাবে আফগানিস্তানে তালিবানকে মদত দিচ্ছে তাতে, এই পদক্ষেপ এড়ানো যেত না কি? তাছাড়া যে সাদিক সাঞ্জরানিকে ভারতের গণতন্ত্রের উদযাপনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করার অভিযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: আগামী দিনে আরও সরকারি সম্পত্তির বিলগ্নীকরণ হবে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর]
ক্ষমতায় আসার পর বছরখানেকের মধ্যেই হঠাত পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক সেসময় হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, মনমোহন সিং (Manmohon Singh) যেখানে ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে একবারও পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন না, সেখানে মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েই পাকিস্তানের দিকে বন্ধুত্বের হাত কেন বাড়ালেন? প্রায় বছর সাতেক আগের সেই বিতর্ক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল স্পিকারের এই আহ্বানে।