শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই রানিগঞ্জের সবজি মার্কেটের অন্তত ৩০-৪০টির মতো অস্থায়ী ছাউনি দোকান। আর তা নিয়ে নির্বাচনে প্রাক্কালে বাকবিতণ্ডায় জড়াল সিপিএম ও তৃণমূল। সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান তৃণমূল নেতা বোরো চেয়ারম্যান মোজাম্মল শাহাজাদা। প্রবীণ সিপিএম নেতাকে লক্ষ্য করে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। সিপিএম নেতাও মেজাজ হারান। তৃণমূল নেতাদের 'চোর' বলে কটাক্ষ করেন।
রানিগঞ্জের ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের চিনকুটি সার্কাস ময়দানে অস্থায়ী হাটতলায় রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হাটতলার মধ্যে তিনটি সারিতে থাকা প্রায় ৪৫টির মতো সবজির দোকান। কয়েক মুহূর্তে হাওয়ার দাপটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে হাটতলার বিস্তীর্ণ অংশের দোকানপাটে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় আধঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানিগঞ্জের বোরো চেয়ারম্যান মোজাম্মেল শাহজাদা। ঘটনাস্থলে যান প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী এবং বিধায়ক রুনু দত্ত। বোরো চেয়ারম্যান এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। বংশগোপাল চৌধুরীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান তৃণমূল নেতা বোরো চেয়ারম্যান মোজাম্মল শাহাজাদা। পুলিশ কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
[আরও পড়ুন: জয়সলমেরকে টেক্কা কলকাতার, ৪৫ ডিগ্রি পার পানাগড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সানস্ট্রোকও]
বংশগোপালের অভিযোগ, "তৃণমূলের আমলে রানিগঞ্জ পুরসভা বিলুপ্ত হয়েছে। আসানসোল পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে রানিগঞ্জকে। তার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রানিগঞ্জের মানুষ। এই সবজি মার্কেটটি স্থায়ী ছাউনি হতে পারত। তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না।" ভোটের সময় আচমকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা সম্ভব নয়। তাই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের।