সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার গভীর রাতে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে উড়ে গিয়েছে শেষ মার্কিন বিমান। পুরোপুরি তালিবানরাজের (Taliban) সূচনা হয়ে গিয়েছে। আর সেই সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে ভয় দানা বাঁধছিল তা আরও গাঢ় হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের প্রায় প্রতিটি এটিএম (ATM) কাউন্টারের বাইরেই ক্রমশ দীর্ঘ হয়েছে লাইন।
কিন্তু কেন? হঠাৎ কেন সকলের মধ্যে টাকা তোলার তাড়া? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে জানাতে গিয়ে কাবুলের এক মহিলা সাংবাদিক মোস্কা সঙ্গর নিয়াজি জানালেন, এর পিছনে আসলে কাজ করছে দেশের ‘অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ’ নিয়ে তীব্র আশঙ্কা। আর তাই সকলেই চাইছেন হাতে যত বেশি সম্ভব নগদ টাকা রাখতে। তালিবান আমলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়লে আগামী দিনে বিপদ বাড়বে। তাই কপর্দকশূন্য না থেকে যত বেশি সম্ভব পকেট ভারী রাখাই শ্রেয় মনে করছেন আফগান নাগরিকরা।
[আরও পড়ুন: দোহায় তালিবানের সঙ্গে বৈঠক ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কোন বিষয়ে জোর আলোচনায়?]
সেই সঙ্গে ওই মোস্কার দাবি, শহরময় টহল দিয়ে চলেছে তালিবান। রাস্তায় কোনও মেয়েই আর একা বেরতে পারছে না। তবুও হার মানতে রাজি নন তাঁরা। মোস্কার কথায়, ”আমি কাবুলে আছি। তবুও আমি মুখ খুলছি। কেননা আমি চুপ করে থাকতে চাই না। আমরা, আফগান মেয়েরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আতঙ্কিত হয়ে আছি। আমাদের কি পড়তে দেওয়া হবে না? আমাদের কি কাজ করতে দেওয়া হবে না? হিজাব পরতে সমস্যা নেই আমার। কিন্তু আমাদের যেন কাজ করতে দেওয়া হয়।”
তালিবান অবশ্য সামনাসামনি অন্য দাবিই করছে। তারা দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাজ পুরোদমে চালু রাখতে মরিয়া। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে তা করা যে বেশ চ্যালেঞ্জের বুঝতে পারছে জেহাদিরা। তবুও সরকারি কর্মীদের দ্রুত কাজে ফেরার নির্দেশ দিচ্ছে তালিবান নেতৃত্ব। তবে সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের পুরো নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে তালিবান আছে তালিবানেই। দেশজুড়ে তাই বাড়ছে আতঙ্ক। সামনের দিন কতটা অন্ধকার, বুঝতে পারছেন না কেউ।