সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠল অ্যামাজনের (Amazon) প্রধান জেফ বেজোসের (Jeff Bezos) বিরুদ্ধে। বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁরই বাড়ির এক প্রাক্তন পরিচারিকা। শুধুমাত্র বর্ণবিদ্বেষ নয়, কোনও বিরতি ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ কাজ করাতেন বেজোস। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করতে বাধ্য করা হত বলে জানিয়েছেন ওই পরিচারিকা। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরে সিয়াটলের আদালতে বেজোসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
মার্সিডিজ অয়েডা নামে ওই পরিচারিকা (Bezos Housekeeper) বেজোসের বাড়িতে কাজ করতেন। মূলত তাঁর কাজ ছিল, পাঁচ-ছয় জনের একটি দলের কাজের তদারকি করা। দিনে প্রায় ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হতেন অয়েডা। খাবার সময়টুকুও পেতেন তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা। এমনকি, শৌচাগারে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। অনেক সময়ে জানলা টপকে পালিয়ে শৌচাগারে যেতে হত তাঁদের। কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে খাবারও সুযোগ ছিল না তাঁদের। বাধ্য হয়ে কাপড় কাচার জায়গায় গিয়ে খাবার খেতেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনে অনায়াস জয়, ফের ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘মোদির বন্ধু’ নেতানিয়াহু]
এহেন নির্মম ব্যবহারের পাশাপাশি বর্ণ বিদ্বেষমূলক আচরণও করা হত অয়েডার সঙ্গে। কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে নানা কটুক্তি শুনতে হত তাঁকে। শ্বেতাঙ্গ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র গায়ের রঙের কারণে বারবার তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। তিন বছর কাজ করার পর তাঁকে বরখাস্ত করে দেন বেজোস।
আদালতে মামলা দায়ের করে অয়েডা বলেছেন, “শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তাঁদের পরিশ্রমের জন্য সঠিক পরিমাণে পারিশ্রমিক দিতে হবে। তাছাড়াও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।” মামলা দায়ের করে অয়েডার দাবি, তাঁকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন বেজোসের আইনজীবী। তাঁদের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই লড়াই করব। “