দীপঙ্কর মণ্ডল: মাধ্যমিকে এবার সবাই শুধু পাশই নয় নম্বর এসেছে ঝুড়ি ঝুড়ি। শুধু অঙ্ক, জীবনবিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞানে ৯০ থেকে ১০০ নম্বর পেয়েছে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৯১ জন। সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়া অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। পছন্দের বিষয় নিয়ে একাদশে সবাই ভর্তির সুযোগ পাবে তো? প্রশ্ন ঘুরছে অভিভাবক মহলে।
মঙ্গলবার বিকল্প মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে সাফল্যের হার ১০০ শতাংশ। ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪৯ জন মাধ্যমিক (Madhyamik Result 2021) পাশ পড়ুয়ার একাদশে ভরতি নিয়ে আলোচনা চলছে চারিদিকে। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের তরফে চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, “সবাই পাশ করে যাওয়ায় একাদশে ভরতিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। অবিলম্বে স্কুলশিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক, তা না হলে আমরা সমস্যায় পড়ব।” স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রতি বছর বেশকিছু মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়। এবারও তা করা হবে। সবাই ভরতির সুযোগ পাবে।
৯০ থেকে ১০০-র মধ্যে নম্বর পেলে ‘এএ’ গ্রেড দেওয়া হয়। প্রথম ভাষায় এই গ্রেড পেয়েছে ৭৮ হাজার ৩৭৬ জন। দ্বিতীয়ভাষায় এই গ্রুপে আছে ৬৬ হাজার ৯০৩ জন। ইতিহাসে সর্বাচ্চ গ্রেড প্রাপক ৭৪ হাজার ৮৬০। এই দলে ভূগোলের পড়ুয়া সংখ্যা ৮৩ হাজার ২৮৯। মাধ্যমিকে বেশি নম্বর পেলে উচ্চমাধ্যমিকস্তরে বিজ্ঞান শাখায় ভরতি নেওয়া হয়। এবার সিংহভাগ পড়ুয়া রেকর্ড নম্বর পেয়েছে। এখানেই দেখা গিয়েছে দুঃশ্চিন্তা। একাদশে সবাই ভরতির সুযোগ পাবে কিনা প্রশ্নে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশের বিষয়ে বলতে পারবে।” তিনি জানিয়েছেন, গত বছর নবম থেকে দশমে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১১ লক্ষ ১২ হাজার পড়ুয়া। এর সঙ্গে ছিল ২ লক্ষ সিসি ও অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী। সবাই মাধ্যমিকে বসার ফর্ম ফিল-আপ করেনি। সবাই আবেদন করলে এদিন ১৩ লক্ষের বেশই পড়ুয়ার ফল প্রকাশ করতে হত। এত বিশাল সংখ্যায় পড়ুয়া পাস করলে বিপত্তি যে বাড়ত, তা বলাই বাহুল্য। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস ফোন না তোলায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। মাধ্যমিকে আগে ১১ লক্ষের বেশি পড়ুয়া পরীক্ষা দেওয়ার নজির আছে। ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার আবেদন করেছিল ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৫৬ জন। সংসদের এক কর্তার প্রশ্ন, সে বছর যদি ভরতিতে সমস্যা না হয় তাহলে এবার কেন হবে।