নব্যেন্দু হাজরা: সন্ধিপুজোর মহালগ্নে মায়ের পায়ে দেওয়ার জন্য কি টাটকা পদ্ম (Lotus) জুটবে? ফুলচাষিরা বলছেন, না। কারণ, পুজোর (Durga Puja 2022) আগে বৃষ্টির আশঙ্কায় এখনই পদ্ম তুলে হিমঘরে মজুত করে ফেলেছেন তাঁরা। পুজোর আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাস তাই কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে ফুলচাষিদের।
দক্ষিণবঙ্গে যেহেতু বর্ষা এবার কিছুটা দেরিতে ঢুকেছে । তাই বর্ষা বিদায়ও দেরিতেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পুজো এগিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে পুজোর আগে এবং পুজোর সময় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই বৃষ্টিতে নষ্ট হতে পারে ফুল। তাই আগেভাগেই তা তুলে নিচ্ছেন চাষিরা। তবে চাষিদের কথায়, “এবার ফলন ভাল। তাই পদ্মের দাম খুব একটা বাড়ার সম্ভাবনা কম। কোনও কোনওবার পুজোর সময় ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত ওঠে পদ্মের পিস। খুব বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তা এবার ১০-১৫ টাকা করে প্রতি পিস পদ্ম বিকোবে।”
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: অষ্ঠমীতেও হয় পাঁঠা বলি, ভোগে থাকে মাংস, জানেন জঙ্গিপুরের নায়েব বাড়ির এই প্রথার ইতিহাস?]
ফুলচাষিরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিতে ফুল নষ্ট হলে ওড়িশা থেকে পদ্ম আমদানি করতে হয়। কিন্তু এবার তেমন সম্ভাবনা নেই। বাংলার পদ্ম দিয়েই মায়ের আরাধনা হবে। যাকে বলে ডবল সাইজ পদ্ম। আকারে বেশ বড়। তবে তা কোল্ড স্টোরেজে রাখতে হচ্ছে এক মাস আগে থেকেই। এখন পদ্ম চার-ছ’টাকা পিসে খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। চাষিদের কথায়, “প্রতিবছর অষ্টমীর দিন মায়ের পায়ে দিতে প্রায় এক কোটি পদ্ম লাগে। বাংলায় যা ফলন তাতেই কুলিয়ে যাওয়ার কথা।”
হাওড়া জগন্নাথঘাটের ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও বর্ধমানে বড় বড় জলাশয়ে পদ্মের চাষ হয়। এছাড়াও হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন নয়ানজুলি ও জাতীয় সড়কের ধারে খালগুলিতে পদ্ম চাষ করেন অনেক ফুলচাষি। তাঁদের কথা অনুযায়ী, বৈশাখ থেকে ভাদ্র– এই সময়কালেই মূলত পদ্মের চাষ হয়। এবারও বাড়তি বৃষ্টি না হওয়ায় চাষ ভালই। সারা বাংলার ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, “এবার এখনও ভারী বৃষ্টি হয়নি। তাই ফুল যে পচে গিয়েছে তেমন নয়। তাই পুজোয় পদ্মের জোগানে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।”