সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সাসপেনশন নিয়ে প্রবল বাদানুবাদ সংসদের প্রিভিলেজ কমিটিতে। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ আগস্ট সাসপেনশন নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখার জন্য প্রিভিলেজ কমিটিতে তলব করা হতে পারে অধীরকে। বহরমপুরের সাংসদকে এভাবে তলব করার বিরোধিতা করেছিলেন বিরোধী INDIA জোটের সাংসদরা।
সূত্রের খবর, সাসপেনশন নিয়ে অধীর চৌধুরীকে তলব করা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠকে মতানৈক্য তৈরি হয় INDIA এবং এনডিএ জোটের সাংসদদের মধ্যে। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো বিরোধী সাংসদদের যুক্তি, ইতিমধ্যেই যা শাস্তি পাওয়ার পেয়ে গিয়েছেন অধীর। ফলত তাকে আর প্রিভিলেজ কমিটিতে তলব করার প্রয়োজন নেই।
[আরও পড়ুন: ১৫ নয়, ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় বাংলায় কয়েকটি জেলায়, জানেন কেন?]
পালটা বিজেপি (BJP) সাংসদদের যুক্তি, যেহেতু প্রিভিলেজ কমিটিতে বিষয়টি এসেছে, ফলে অভিযুক্তের বক্তব্য না শুনে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, কোনও সাংসদ বা বিধায়কের সাসপেনশন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অধিবেশনে প্রযোজ্য হয়। সূত্রের খবর, বিষয়টি বৈঠকে তোলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ তৃণমূলও তিক্ততা ভুলে অধীরের পাশেই দাঁড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে অধীরকে তলব করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদের প্রিভিলেজ কমিটি।
[আরও পড়ুন: Saokat Molla: ‘দুর্নীতিতে নাম জড়ালেই তাড়াব’, বোর্ড গঠনের পরই প্রধানদের হুঁশিয়ারি শওকতের!]
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘নীরব মোদি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতার সেই মন্তব্যকে অসংসদীয় বলে দেগে দেন স্পিকার। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রিভিলেজ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানো অবধি সাসপেন্ডই থাকবেন অধীর। এবার অধীরের বক্তব্য শুনতে প্রিভিলেজ কমিটি তাঁকে তলব করতে পারে।