ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ঘনঘন ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে নিজের মতো করে কোনও বক্তব্য পেশ করায় রাশ টেনেছে দল। শনিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের অব্যবহতি পরই তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) কিছুটা অভিমানী সুর নিয়ে অনুগামীদের বার্তা দিয়েছিলেন। রবিবারও সেই একই। ফের ফেসবুক লাইভ করে মদন মিত্র কার্যত ঘোষণা করলেন, ৩০ জুন কামারহাটিতে বিজয়োৎসব হবে। বললেন, ”আমরা যে জিতেছিলাম, তার একটা বিজয় উৎসব হবে। অন্তত কুড়ি হাজার লোক নিয়ে। সারা দিনরাত বাজনা, হইহুল্লোড় হবে।” এলাকার একটি মাঠে তিনি এই বিজোয়ৎসবের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় কর্মী, সমর্থকদের। বলেছেন, ”আগামী ৩০ জুন কামারহাটির একটা লোকও বাড়িতে থাকবে না।” তাঁর এই ঘোষণার পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও মেলেনি।
করোনা (Coronavirus) আবহে একমাস ব্যাপী আট দফা ভোট, ফলপ্রকাশ, সরকার গঠন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)ভোট চলাকালীনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও সেলিব্রেশন হবে না। জয়ের পর প্রধান কাজ হবে মহামারী পরিস্থিতি সামলানো। সেইমতো তাঁর নিজের শপথগ্রহণ, মন্ত্রিসভা গঠন – সবই হয়েছে অত্যন্ত অনাড়ম্বরে, একেবারে ঘরোয়াভাবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মদন মিত্র সম্পূর্ণ উলটো পথে হাঁটলেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ রুখতে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। ১৫ জুন পর্যন্ত তা লাগু থাকবে। তারপর তা খানিকটা শিথিল করা হতে পারে। তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যে নিম্নমুখী সংক্রমণ, করোনা প্রাণ কেড়েছে ১০৭ জনের]
এই অবস্থায় মদন মিত্র রবিবার ফেসবুক লাইভে ঘোষণা করে দিলেন, আগামী ৩০ জন কামারহাটিতে হবে তৃণমূলের বিজয়োৎসব। শুধু প্রতীকী সেলিব্রেশন নয়, রীতিমতো জনঢল নিয়েই তা করার পরিকল্পনা মদন মিত্রের। একেবারে ২০ হাজার লোককে নিয়ে সমাবেশ! হতে পারে, হয়ত পরিস্থিতির বিচারে পরবর্তীতে এত লোকজন নিয়ে উদযাপনে আর বাধা থাকবে না। কিন্তু আগে থেকেই এত লোক নিয়ে মদন মিত্রর বিজয় উৎসবের ঘোষণায় স্বভাবতই হাজার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এখনও তো বিজয় উৎসব হওয়ার কোনও ছাড়পত্র দলীয় তরফে নেত্রী দেননি। তার মধ্যে এত লোক নিয়ে সারা দিন হইহুল্লোড়, বাজনার কথা বলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। যা নিয়ে পরে তাঁর ব্যাখ্যা, “অনেক বড় বড় মাঠ আছে কামারহাটিতে। ওখানে ফাঁকা ফাঁকা করে বসলেও এত লোক ঠিক ধরে যাবে। কোনও অসুবিধা নেই। সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ থাকবেন।”