সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে সামনে দেখলেই সেলফির হিড়িক। তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তুলতে রীতিমতো লাইন পড়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের মতো তাঁর ছবিও লোকে বাড়িতে বাঁধিয়ে রাখে। ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল হতেই এভাবে সাফাই দিলেন মদন মিত্র।
ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষই (Kuntal Ghosh) প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এক রহস্যময় নারীর জড়িত থাকার কথা বলেন। তিনি হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। কুন্তলের দাবি, দুর্নীতির সব টাকা নাকি হৈমন্তীর কাছেই। মডেল, অভিনেত্রী হিসেবে টলিউডে মুখ চেনা হচ্ছিল হৈমন্তীর। বছর আটেক আগে গোপাল দলপতির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তারপর ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ে। গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী হাওড়ার যুবতী। জানা যাচ্ছে, হৈমন্তীর সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর কথাতেই নিজের নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হন গোপাল দলপতি।
[আরও পড়ুন: জঞ্জালের ভিতরে স্ক্রিপ্ট! শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো হৈমন্তীর হাওড়ার বাড়িতে রহস্য]
এই আবহেই মদনের সঙ্গে হৈমন্তীর পুরনো ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তা বিশেষ আমোল দিচ্ছেন না তিনি। কামারহাটির বিধায়কের দাবি, তিনি হৈমন্তী বলে কাউকে চেনেন না। কুন্তল বা গোপালের সঙ্গেও তাঁর পরিচয় নেই। বলে দেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন মিটিং, মিছিল, অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে বহু নারী ছবি তোলেন। তিনিও সেই আবদার রাখেন। কিন্তু ছবি তোলার আগে কথা বলে তাঁর বিষয়ে তথ্য জোগাড় করা তো সম্ভব নয়।
মদন মিত্রর কথায়, ‘‘অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি তুলে বাঁধিয়ে রাখে। যেমন রবীন্দ্রনাথের ছবি বাঁধিয়ে রাখে। এতে অসুবিধা কোথায়?’’ এরপরই যোগ করেন, ‘‘ছবিটা যে আমার, তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। আমি কলেজ জীবন থেকেই দেখেছি আমার ছবি বেরলেই ভাইরাল হয়। উত্তমকুমারের ছবি যেমন স্টুডিয়োয় ঝোলানো থাকে, তেমন আমার সঙ্গে ছবি তুললেই ভাইরাল। মেয়েদের একটু ফর্সা দেখতে হলেই আমার সকলকে একই রকম লাগে। আলাদা করে বুঝতে পারি না। তার পর ভুলে যাই কোথায় দেখেছি।’’ মদনের সাফ কথা, “ছবি তোলার আগে তো তাহলে বলতে হয়, একটু বসুন, কথা বলুন, বাবার পরিচয় জানান। একজন মহিলাকে এর চেয়ে বেশি তো জিজ্ঞেস করা যায় না।”