সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদ্রাসায় ধর্ষণের শিকার ৫ বছরের শিশু। পরিজনরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত শিক্ষককে। এই ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।
[আরও পড়ুন: বাসর ঘরে আত্মীয়দের থাকা নিয়ে মনোমালিন্য, অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ স্বামী]
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। গত রবিবার উপজেলার কাঁশারা দারুল উলুম মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে নির্যাতিতা শিশুটি চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি আছে। এই ঘটনায় সোমবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মহম্মদ আবুল হোসেন। অভিযুক্ত উপজেলার শাহাপুর এলাকার বাসিন্দা ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, প্রতিদিনের মতোই ঘটনার দিন সকালেও তাঁর মেয়ে মাদ্রাসায় যায়। তবে মাদ্রাসা ছুটির পর দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার পর থেকেই কান্না শুরু করে। পরে তিনি মেয়েকে স্নান করাতে নিয়ে গেলে জামায় রক্ত দেখতে পান। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে মা-কে ঘটনাটি জানায়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও কিশোরগঞ্জে ১০ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ষণ যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে মাদ্রাসা পড়ুয়া নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ। সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মারা যান নুসরত৷ তবে শেষমেশ আদালত ১৬ জন দোষীকে ফাঁসির সাজা দেয়।