সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) কি খেলা ঘুরছে? আর কয়েকমাস পরই সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই জোর গুঞ্জন, এনসিপির অজিত পওয়ার (Ajit Pawar) শিবির ছেড়ে 'ঘর ওয়াপসি' করতে চলেছেন চার শীর্ষ নেতা। শরদ পওয়ারের দলে ভিড়ছেন তাঁরা। এর আগে দেখা গিয়েছিল অন্য ছবি। বিজেপির দিকে ভিড়ে ছিলেন অজিত ও তাঁর দলের অনেক নেতাই। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক হতেই কি ছবি পালটাতে শুরু করেছে?
জানা গিয়েছে, দলের চার নেতা ইস্তফা দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এবং শিগগিরি তাঁরা বর্ষীয়ান শরদ পওয়ারের হাত ধরতে চলেছেন। এই নেতারা সকলেই পিম্পরি-চিনচাওয়াড় এলাকার। তাঁদের অন্যতম অজিত গাভাহানে এলাকার দলীয় প্রধান ও ছাত্র সংগঠনের নেতা যশ সানে। বাকি দুজনের নাম রাহুল ভোঁসলে ও পঙ্কজ ভালেকার। এই চার নেতাই দল ছেড়েছেন। পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন অজিত পওয়ারকে। আর তার পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। 'ঘর ওয়াপসি' করতে চলেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: গর্ভধারিণীর ঋণশোধ! মায়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে মোবাইলে ভিডিও তুলল ছেলে!]
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে মহাজুটির। তার পর থেকেই রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। সূত্রের দাবি, চার বিদ্রোহী নেতার অন্যতম অজিত গাভাহানে চেয়েছিলেন ভোসারি বিধানসভা থেকে লড়ার টিকিট। কিন্তু তাঁকে টিকিট না দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মহেশ লাংড়েকে। তাতেই অভিমানী হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অজিত।
এদিকে জানা গিয়েছে, শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে সেনা ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১১৫ থেকে ১২৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলবারই তাঁর দলের বর্ষীয়ান নেতা সঞ্জয় রাউত, সুভাস দেশাই, অনিল দেশাই, সুনীল প্রভুদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রের দাবি। দলের তরফে অবশ্য এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে, কেবলই লড়ার সিদ্ধান্ত নয়, রীতিমতো 'ওয়ার রুম' খুলে প্রতিটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখে সেইমতো প্রচার চালানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যের অসুবিধা না করে উৎসব পালন করুন’, মহরমের দিন শান্তিরক্ষায় বার্তা ডিজি রাজীব কুমারের]
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে চমক দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। ৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিই তাদের দখলে গিয়েছে। এর মধ্যে শিব সেনার উদ্ধব শিবির পেয়েছে ৯টি। অন্যদিকে কংগ্রেস ১৩টি ও শরদ পওয়ারের এনসিপি শিবির জিতেছিল ৮টি আসনে। এনডিএ পায় মাত্র ১৭টি আসন। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও একই আধিপত্য রাখতে আত্মবিশ্বাসী উদ্ধবরা। অন্যদিকে বিজেপিও চাইছে 'কামব্যাক' করতে।