সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'। যোগীর দেওয়া যে স্লোগানকে পাথেয় করে মহারাষ্ট্রের ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বিজেপি, সেই স্লোগান নিয়ে এবার আপত্তি জানাচ্ছেন দলেরই একাধিক প্রভাবশালী নেতা। জোটসঙ্গী অজিত পওয়ার আগেই এই স্লোগানের বিরোধিতা করেছিলেন। এবার বিজেপির দুই প্রথম সারির নেতা বলে দিলেন, এই ধরনের স্লোগান সমর্থনযোগ্য নয়।
মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, অধুনা বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান যেমন বলছেন, "মহারাষ্ট্রে এই স্লোগানের কোনও প্রভাব পড়বে না। এই ধরনের স্লোগান একেবারেই শুনতে ভালো লাগে না। আমার মনে হয় না, মানুষও এটা মেনে নেবে। আমি নিজেও এই ধরনের স্লোগানের পক্ষপাতি নই।" একা অশোক চহ্বান নন, বিজেপির আর এক প্রথম সারির নেত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে পঙ্কজা মুন্ডে বলছেন, "আমি নিজে এই ধরনের স্লোগানকে সমর্থন করি না। আমি মানুষের ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করতে পছন্দ করি। মহারাষ্ট্রে এই ধরনের ইস্যু তুলে আনার মানেই হয় না।"
আসলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনার দাবি তুলে মহারাষ্ট্রে বিজেপির ‘হিন্দুত্ব’ ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পেরেছিল কংগ্রেস। অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল সংঘ তথা বিজেপির হিন্দু ঐক্যের ডাক। লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই হিন্দু ঐক্যকে পুনরুত্থান করতে মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে ‘ স্লোগানকে হাতিয়ার করছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগানও ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজটি করার চেষ্টা করছে খোদ আরএসএস।
এর আগে বিজেপির জোটসঙ্গী অজিত পওয়ার এই স্লোগানের বিরোধিতা করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, “আমি শুরু থেকেই এই ধরনের প্রচারের বিরোধী। এটা হয়তো উত্তরপ্রদেশে কাজ করতে পারে। ঝাড়খণ্ডে কাজ করতে পারে। অন্য কোনও রাজ্যে কাজ করতে পারে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে করবে না। মহারাষ্ট্র ওই রাজ্যগুলির মতো নয়।” অজিতের কথায়, এটা ছত্রপতি শিবাজীর ভূমি, সাহু মহারাজের ভূমি, মহাত্মা ফুলের ভূমি। মহারাষ্ট্রের মানুষ এই ধরনের প্রচার পছন্দ করে না। জোটসঙ্গীর পর যেভাবে দলের নেতারা যোগীর স্লোগানের বিরোধিতা করছেন, তাতে খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি।