সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দেড় দশক ধরে একসঙ্গে হচ্ছে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ভোট। ২০১৯ সালেও তাই হয়েছিল। কিন্তু এবার তেমনটা হল না। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন হরিয়ানা এবং কাশ্মীরের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে। তবে ঘোষণা করা হয়নি মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের ভোটের সূচি। সেটা নিয়েই এবার প্রশ্ন বিরোধীদের।
মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ নভেম্বর এবং ২৬ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে। মনে করা হচ্ছিল, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার ভোট নির্ঘণ্ট একসঙ্গেই ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তেমনটা করা হয়নি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, " কাশ্মীরের নির্বাচনে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার জন্য মহারাষ্ট্রের ভোট পরে হবে। তা ছাড়া এ বার সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি উৎসবও রয়েছে তাই এই সিদ্ধান্ত। "
[আরও পড়ুন: আর জি করের প্রতিবাদে সরকারি পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান একাধিক ক্লাবের, কড়া প্রতিক্রিয়া কুণালের]
কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। উদ্ধব শিবিরের নেতা আদিত্য ঠাকরের প্রশ্ন, "অন্য সব রাজ্যে ভোট হচ্ছে অথচ মহারাষ্ট্রে ভোট করানো হচ্ছে। দিল্লি কি মহারাষ্ট্রকে আরও বেশি করে লুটতে চাইছে। কেন মারাঠাদের প্রতি এই ঘৃণা?" বিরোধী শিবিরের যুক্তি, চার মাস আগে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’র কাছে বিজেপি, শিন্ডে সেনা, অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপির জোট পর্যুদস্ত হয়েছে। এখনই বিধানসভা ভোট হলে সেই রেশ থেকে যেতে পারে। ঝাড়খণ্ডেও হেমন্ত সোরেন জেল থেকে বেরনোর পর চাঙ্গা 'ইন্ডিয়া' শিবির। তাই ওই দুই রাজ্যের ভোট ঘোষণার আগে ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: সংরক্ষণে বেনিয়ম, এবার উত্তরপ্রদেশে বাতিল ৬৯ হাজার হবু শিক্ষকের চাকরি]
শাসক শিবির অবশ্য সে সব অভিযোগ মানতে নারাজ। বিজেপির সাফ কথা, ভোট ঘোষণা সম্পূর্ণরূপে কমিশনের ব্যাপার। তাছাড়া এবার কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট হচ্ছে, সেটা সুষ্ঠুভাবে করাটা কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সেদিকে নজর রেখেই কমিশন আগে হরিয়ানা এবং কাশ্মীরের ভোট করিয়ে নিতে চাইছে।