সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছর গোড়ার দিকেই রাজ্য থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। সেই মতো নোটিসও জারি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, মার্চ মাসের মধ্যে যেন রাজ্যে প্লাস্টিক তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জন্য শেষ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২৩ মার্চ পর্যন্ত। এও বলা হয়েছিল ২৩ জুনের মধ্যে রাজ্য থেকে সমস্ত প্লাস্টিক তুলে নেবে রাজ্য সরকার। গতকাল সেটিই হল মহারাষ্ট্রে।
শনিবার থেকে প্লাস্টিকের যাবতীয় জিনিস ও থার্মোকল নিষিদ্ধ করল মহারাষ্ট্র সরকার। এবার থেকে যদি কেউ এই জিনিসগুলো ব্যবহার করে তবে তাদের ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। একাধিকবার একই কারণে ধরা পড়লে তিন মাস পর্যন্ত জেলের সাজাও হতে পারে।
[ ইচ্ছাশক্তির জোরে আকাশে উড়ান দেবে চা-বিক্রেতার মেয়ে আঁচল ]
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলেছেন, যদি সবাই সাহায্য করে তবেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত সফল হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, সরকার সেই সমস্ত প্লাস্টিকের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যেগুলি ফের ব্যবহার বা পুনরাবর্তন করা যাবে না। “আমরা পুলিশ রাজ প্রোমোট করছি না। আমরা ছোট ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে চাইছি।” বলেছেন তিনি।
যেসব জিনিসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সেগুলি হল, যে কোনও আকারের প্লাস্টিক ব্যাগ, প্লাস্টিক কন্টেনার, ডিশ, কাপ, জিপলক পাউচ, ওয়েস্টবক্স, স্টোর লিকুইডের পাউচ, সাজানোর জন্য প্যাস্টিক বা থার্মোকল। তবে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের জিনিসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। সেগুলি হল, দুগ্ধ সামগ্রী, ওষুধ মোড়ার প্লাস্টিক, খাবার প্যাক করার প্লাস্টিক ব্যাগ (কোনওভাবেই ৫০ মাইক্রনের কম নয়) ইত্যাদি।
[ পরিষেবা দিতে ব্যর্থ যোগী সরকার, রাস্তা সারাইয়ে নামলেন খোদ মন্ত্রী ]
রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী রামদাস কদম বলেছেন, “প্লাস্টিক ব্যান করার আগে মানুষকে প্রচুর সময় দেওয়া হয়েছে। এটা নোটবন্দির মতো রাতারাতি চালু হয়নি। সমুদ্র প্লাস্টিকে বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু মহারাষ্ট্রের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য চিন্তার বিষয়।” সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন যুব সেনার প্রধান আদিত্য ঠাকরে। বলেছেন, প্রথম প্রথম অসুবিধা হবে। কিন্তু পরে প্লাস্টিক ব্যবহার না করা অভ্যাস হয়ে যাবে। তখন আর কোনও সমস্যা হবে না।