সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাদা-বৌদির রহস্যমৃত্যুর বিচার চেয়ে সাংঘাতিক কাণ্ড করলেন এক যুবক। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের একটি আঙুল কেটে ফেললেন তিনি। এমনকী সেই ভয়ংকর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করলেন। এমন কাণ্ডে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারা জেলায়। ঠিক কী ঘটেছিল?
৪৩ বছর বয়সি প্রতিবাদী যুবকের নাম ধনঞ্জয় নানাভারে। বাড়ি থানের উল্লাস নগরে। পৈতৃক বাড়ি থেকেই ধনঞ্জয়ের দাদা নন্দকুমার এবং বৌদি উজ্জ্বলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত মাসে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আত্মহত্যা বললেও ধনঞ্জয়ের দাবি, তাঁর দাদা-বৌদির মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে এক মন্ত্রীর হাত। আরও জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে অভিযুক্ত মন্ত্রীর নাম বলে গিয়েছিলেন দাদা। এর পরেও পুলিশ আত্মহত্যার তকমা দিয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না, প্রতিবাদে ভয়ংকর পদক্ষেপ করেন ওই যুবক।
[আরও পড়ুন: ‘একটু কমিয়ে দিতে বলুন না’, মহিলার আবেদনে অবাক ফিরহাদ]
ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের আঙুল কেটে ফেলেন তিনি। সাংঘাতিক কাণ্ডের ভিডিও রেকর্ডও করেন। প্রশাসনকে ধনঞ্জয় হুমকি দিয়েছেন, পুলিশ এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকলে, দাদা-বৌদির খুনের বিচার না হলে প্রতি সপ্তাহে একটি করে দেহাংশ কেটে ফেলবেন তিনি। এদিকে ঘটনার পরেই ধনঞ্জয়কে উদ্ধার করে পুনের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।