সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) বাগে আনতে নতুন করে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ক’ দিন আগেই অর্থপাচারের অভিযোগে মুম্বইয়ে দাউদ ঘনিষ্ঠদের একাধিক ডেরায় অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। তখনই জানা গিয়েছিল, একই অভিযোগে মহারাষ্ট্রের এক রাজনীতিবিদও ইডির নজরে রয়েছেন। এরপরই বুধবার এনসিপি (NCP) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের (Nawab Malik) বাড়িতে হানা দিল ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মুম্বই দপ্তরে নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হল মন্ত্রীকে।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ নবাব মালিকের বাড়িতে হাজির হন ইডির গোয়েন্দারা। সেখানে ঘণ্টা খানেক জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এরপর সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে ইডির দপ্তরে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত জেরা করা হয়। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অর্থপাচারের তদন্তে আগেই সমন পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রীকে। যার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের।
[আরও পড়ুন: অভিনব প্রতিবাদ! যোগী আদিত্যনাথের সভার মাঠে কয়েকশো গরু ছেড়ে দিলেন কৃষকরা]
মন্ত্রী নবাব মালিকের দপ্তরের তরফেও ইডির হানা ও জেরার কথা স্বীকার করা হয়েছে। ‘অফিস অফ নবাব মালিক’ টুইটার অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে জানানো হয়, “আজ সকালে ইডি এসেছিল নবাব মালিক সাহেবের বাড়িতে। তাঁকে ইডি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নবাবের ছেলে আইনজীবী আমির মালিকও সঙ্গে রয়েছেন।”
এদিকে নবাবকে ইডির জেরা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগেছেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। তার দাবি, মোদি সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। গেরুয়া শিবিরকে পালটা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যে এসে একজন মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তুলে নিয়ে যাচ্ছে! মনে রাখবেন, ২০২৪-এর পর আপনাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে, আপনাদেরও জেরা সামলাতে হবে।” এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) বলেন, “বিরোধীদের চুপ করাতে মাঝেমাঝেই দাউদের নাম তুলে অভিযোগ আনা হয়। আমি যখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন আমার বিরুদ্ধেও এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। হেনস্তা করাই এদের উদ্দেশ্য।”
[আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু, চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের কোভিড গ্রাফ]
প্রসঙ্গত, এর আগে নবাব মালিকের দাউদ যোগের অভিযোগ এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। দেবেন্দ্র দাবি করেছিলেন, নবাব মালিকের সঙ্গে মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের যোগাযোগ রয়েছে। এমনকী নবাবের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে, তারা ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত। যদিও সেই সময় যাবতীয় দাবি অস্বীকার করেছিলেন নবাব মালিক।