সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি পাকিস্তান (Pakistan) থেকে দেশে ফিরেছেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বাসিন্দা এক তরুণী। পাকিস্তানে 'স্বামী'র সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। যদিও ওই ইন্দো-পাক বিয়ে হয়েছিল অনলাইনে। দেশে ফিরতেই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আধার কার্ড-সহ একাধিক 'ভুয়ো' পরিচয়পত্র দাখিল করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গুপ্তচরবৃত্তি কি না খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
আধার-সহ বিভিন্ন পরিচয়পত্রে যিনি নাগমা নূর মকসুদ, তিনিই আসলে সনম খান রুখ, এমনটাই দাবি পুলিশের। ২০২১ সালে নাগমা ওরফে সনম পাক নাগরিক বাবর বশির আহমেদের সঙ্গে পরিচিত হন ফেসবুকে। তাঁরা প্রেমে পড়েন, ফোন নম্বর বিনিময় করেন। এর কিছুদিন পর পাক ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন নাগমা। যদিও ব্যর্থ হন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনলাইন বাবরের সঙ্গে 'বিয়ে' হয় তরুণীর। এর পর নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করেন। এবার সনম খান রুখ নামে আবেদন করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের হেঁশেলে স্বস্তি, ধর্মঘট প্রত্যাহার আলু ব্যবসায়ীদের]
নাম বদলে দ্বিতীয় আবেদন কাজ হয়। ভিসা পেয়ে পাকিস্তানে যান নাগমা ওরফে সনম। ফেরেন গত ১৭ জুলাই। এর পরেই পুলিশ নাম বদলের অভিযোগ তোলে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও তরুণীর মা দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পরে নিজের এবং সন্তানদের নাম বদলে ফেলেছিলেন নাগমা। এই অবস্থায় অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেপ্তার না করলেও তাঁর উপর নজর রাখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, দ্বিতীয় বিয়ের উদ্দেশ্য কি গুপ্তচরবৃত্তি?