সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণীর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস (WhatsApp Status) পছন্দ হয়নি প্রতিবেশী কিশোরীর। যারা একে অপরের বান্ধবী। অথচ ওই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসের জেরে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘর জেলায়। দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয় গত ১০ ফেব্রুয়ারি। হাসপাতালে ভরতি ছিলেন গুরুতর আহত বছর চল্লিশের ওই মহিলা। গতকাল মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় প্রতিবেশী পরিবারের দুই মহিলা-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বইসরের শিবাজি নগরে থাকে দুই পরিবার। সম্প্রতি বছর কুড়ির তরুণী প্রীতি প্রসাদ একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দিয়েছিলেন। যা পছন্দ হয়নি প্রীতির প্রতিবেশী তথা বান্ধবীর (১৭)। কিশোরীর ধারণা হয়, তাকে উদ্দেশ্য করেই ওই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই কিশোরী তাঁর ভাই ও মাকে সঙ্গে নিয়ে চড়াও হয় প্রীতির বাড়িতে। সেই সময় প্রীতি ও তাঁর মা বছর চল্লিশের লীলাবতী দেবী প্রসাদ ছিলেন বাড়িতে। অভিযোগ, দু’ জনকেই বেধড়ক মারধর করে ওই কিশোরী, তার মা ও ভাই। যার ফলে গুরুতর আহত হন লীলাবতী দেবী। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহিলার মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাইয়ে প্রাক-ভোট ‘পরীক্ষা’ নিলেন গ্রামবাসীরা]
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলা আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তবে সংঘর্ষের কারণেই জখম হয়ে রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে কী ছিল, তা অবশ্য জানাতে চায়নি পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরী, তার মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: হিজাব না পরার জন্যই ভারতে ধর্ষণ সবচেয়ে বেশি, কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়]
বয়সরের পুলিশ আধিকারিক সুরেশ কদম বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে কী ছিল তা আমি বলব না। তবে বিষয়টিকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত হয়নি কিশোরীর। কিশোরীকে বিশেষ সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।