সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অহিংস আন্দোলনের মধ্যে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু কাঙ্খিত স্বাধীনতা লাভের পরের বছরেই নাথুরাম গডসের গুলিতে মৃত্যু হয় জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর। কিন্তু কেন হত্যা করা হয়েছিল গান্ধীকে? সেই নিয়ে বিতর্ক আজও জিইয়ে আছে। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। তাঁর মতে, গান্ধী হত্যায় লাভবান হয়েছে কংগ্রেস দলই। আর বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্যে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক।
[নাটকের কর্মশালায় ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব, অভিযুক্ত পরিচালক]
বর্তমানে বিজেপির গৌরব যাত্রায় অংশ নিতে গুজরাটে গিয়েছেন উমা ভারতী। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের গান্ধীহত্যার প্রসঙ্গে বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে কংগ্রেসের। কারণ গান্ধীজি কংগ্রেসকে দ্বিখণ্ডিত করতে চেয়েছিলেন।’ এরপরই গান্ধী হত্যার তদন্তের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ‘গডসে হয়ত গান্ধীজিকে গুলি মেরেছিলেন, কিন্তু তাঁকে প্ররোচিত করেছিল কে?’ এর পাশাপাশি গুজরাট বিধানসভা ভোট নিয়েও নিজের বক্তব্য রাখেন। তাঁর মতে, নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে ১৬০-১৬৫ আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। তবে গুজরাট বিধানসভার ভবিষ্যদ্বাণী নয়, গান্ধী হত্যা নিয়ে উমা ভারতীর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে জমেছে বিতর্ক।
মহাত্মা গান্ধীর হত্যা নিয়ে কয়েক দশক ধরে উঠে আসছে প্রশ্ন। প্রকাশ্যে গুলি চালালেও গডসেকে সামনে রেখে ঘুঁটি নাড়া হয়েছিল বলেই মনে করেন অনেকে। সেই প্রশ্নই এবার ফের উঠে এসেছে। নতুন করে তদন্তের দাবি জোরাল হয়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা পঙ্কজ ফড়নিসের মামলার ভিত্তিতে নতুন করে গান্ধী হত্যা কাণ্ডে ফের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য সে সম্ভাবনা খতিয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী এবং প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অমরেন্দর শ্যারনকে ‘অ্যামিকাস ক্যুরি’ বা আদালত বন্ধু নিয়োগ করা হয়েছে।
[মন্দ কপাল! খোয়া গেল কেজরিওয়ালের প্রিয় গাড়ি]
এই ব্যাপারে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে কি না, তা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে আদালতকে জানাবেন তিনি। সেই সঙ্গে বিচারপতি এস এ বোবড়ে এবং এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট মামলাকারীকে প্রশ্ন করেছে, গান্ধী হত্যা কাণ্ডে দু’জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আপনি বলছেন, তৃতীয়জন ছিল। কেউ কি এখনও বেঁচে আছেন? এর জন্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে কোথায়? আদালতের মন্তব্য, এই ব্যাপারে কোনও সংগঠনকে দোষী করা যায় না। কেউ বেঁচে থাকলে বলুন। গত ৬ অক্টোবর ১৫ মিনিটের জন্য সংক্ষিপ্ত শুনানি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ অক্টোবর।
[ডেঙ্গু নিয়ে অপপ্রচার নয়, ল্যাবগুলির ভুল বোঝানোতে কান দেবেন না: মুখ্যমন্ত্রী]
The post ‘মহাত্মা গান্ধীর হত্যায় সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে কংগ্রেসই’ appeared first on Sangbad Pratidin.