নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সব জল্পনার অবসান। বাতিল মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে সংসদ থেকে বিতাড়িত(Expelled) করা হল মহুয়াকে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগই দেওয়া হল না মহুয়াকে।
এদিন দুপুর ১২টায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেন লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রধান তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ বিজয় সোনকার। জল্পনা মতোই ওই রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও রিপোর্টটি পেশের পরই চূড়ান্ত হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। যার জেরে অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মূলতুবি করে দিতে হয়। তবে অধিবেশন ফের শুরু হতেই মহুয়া ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্পিকার। বলে দেন, সংসদের মর্যাদাহানি হোক, এমন কোনও বিষয়ই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একইসঙ্গে এনিয়ে আলোচনার জন্য আধঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ওম বিড়লা।
[আরও পড়ুন: এই প্রথম বাংলায়, কুভেম্পু পুরস্কার পাচ্ছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়]
স্পিকারের ঘোষণার পরই সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও সময় দেওয়ার আর্জি জানান। তৃণমূল সাংসদ কল্যণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেন। যদিও তা কানে তোলেননি স্পিকার। মহুয়ার হয়ে এদিন একে একে সওয়াল করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী, মণীশ তিওয়ারি, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। মহুয়ার মৌলিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। পালটা যুক্তি দেন বিজেপি সাংসদরাও।
এরপরই সংসদের নিয়ম মেনে ধ্বনি ভোটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল করা হচ্ছে। যদিও ধ্বনি ভোটের সময় ওয়াকআউট করে গিয়েছিলেন বেশিরভাগ বিরোধী সাংসদই।