সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করায় ন্যায় সংহিতা আইনে FIR দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কেন্দ্রকেও কড়া চ্যালেঞ্জ করেছেন। এবার পালটা হাতিয়ার হিসেবে গরু এবং গোমাংস পাচার ইস্যুকে তুলে ধরলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দিকে আঙুল তুললেন তিনি। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের লেটারহেড প্যাডে সীমান্তে গোমাংস বিনিময়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তথ্যপ্রমাণ-সহ তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন মহুয়া। প্রশ্ন তুললেন বিএসএফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উদ্দেশে।
X হ্যান্ডলে মহুয়ার পোস্টে দেখা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Santanu Thakur) লেটারহেড প্যাডে বিএসএফের (BSF) ৮৫ নং ব্যাটেলিয়নের নাম উল্লেখ রয়েছে। জনৈক জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তির ৩ কেজি গোমাংস (Beef) সীমান্তের ওপারে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং তা দিয়েছেন বিএসএফ। গরু পাচারের মতো ঘটনায় সীমান্তে বিএসএফ জড়িত, সেই অভিযোগে বহু আগে থেকেই সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। বিশেষত গরু পাচার নিয়ে দলের একাধিক হেভিওয়েটকে সিবিআই, ইডির তলবের পরিপ্রেক্ষিতে উলটে কেন্দ্রের উপরই দায় চাপিয়েছে শাসকদল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই গরু ও কয়লা পাচারে বিএসএফ এবং সিআইএসএফ-কে দায়ী করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘বয়স কমছে’, জন্মদিনে লন্ডনে সেলিব্রেশন সস্ত্রীক সৌরভের, মহারাজকীয় শুভেচ্ছা কেকেআরেরও]
এবার মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) একেবারে নথি তুলে ধরে সেই অভিযোগে সুর চড়ালেন আরও একধাপ। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পোস্টে জোর দিলেন শান্তনু ঠাকুরের নাম লেখা লেটারহেড প্যাডে বিএসএফের ওই ছাড়পত্রের ছবিটিতে। ৩ কিলো গোমাংস কীভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Indo-Bangladesh Border) বিনিময় হয়, তার নিদর্শন হিসেবে এই প্রমাণ বলে দাবি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের। এনিয়ে এখনও শান্তনু ঠাকুরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্যে নিজের বিরুদ্ধে FIR-এর পালটা হিসেবে কি মহুয়ার এই গোমাংস-নথি ফাঁস? প্রশ্ন থাকছেই।