অর্ণব আইচ: বাঁশদ্রোণিতে (Basdroni) খুনের ঘটনার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই গ্রেপ্তার হল মূল অভিযুক্ত-সহ ২। বিহার থেকে রাজীব কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। আর বাঁশদ্রোণি এলাকা থেকেই ধরা পড়েছে অভিযুক্ত এক মহিলা। সম্পর্কে নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের স্ত্রী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে সোমবার কলকাতায় (Kolkata) নিয়ে আসা হচ্ছে। আদালতে পেশ করা হবে তাদের। গত মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণি এলাকার সোনালি পার্কের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় মুকেশ সাউ নামে একজনের দেহ। তদন্তে নেমে ভিনরাজ্য থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
গত ৭ তারিখ সোনালি পার্কে (Sonali Park) নিজের বাড়ির সামনে থেকে মুকেশ সাউ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেন তাঁর ভাই সঞ্জয়। ওইদিন সকালে তিনি দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাড়ির করিডর। মৃতের ডান হাতে ধরা রয়েছে একটি ছুরি। গলা আর কাঁধে গভীর ক্ষতচিহ্ন। জানা যায়, সোমবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুকেশ। রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। তারপর সকালেই তাঁর মৃ্ত্যু হয়। অন্যদিকে, মুকেশের স্ত্রী এবং দুই ছেলে গত নভেম্বরে বিহারে গিয়েছেন। তাই বাড়িতে মুকেশ এবং ভাই সঞ্জয় ছিলেন। প্রাথমিকভাবে খুনের অভিযোগেই তদন্ত শুরু করে বাঁশদ্রোণি থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ফের চিকিৎসককে ‘চড়’ রোগীর পরিবারের, প্রতিবাদে জরুরি বিভাগে কর্মবিরতি মেডিক্যাল কলেজে]
তবে খুনের ঘটনার কিনারা করতে গিয়েই ভিনরাজ্যে যেতে হয় তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, বিহারের (Bihar) বাঁকা জেলা থেকে রাজীব কুমার নামে একজনকে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পাশাপাশি কলকাতা থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে ললিতা সাউ, যিনি সম্পর্কে মৃত মুকেশের ভাইয়ের স্ত্রী। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ধৃত রাজীবের সঙ্গে ললিতার কোনও সম্পর্ক রয়েছে। রাজীব মুঙ্গের জেলার সংগ্রামপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে খুনের পর সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। শেষমেশ বাঁকা জেলা থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। ললিতার সঙ্গে ধৃত রাজীবের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে খুন করা হল মুকেশকে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই জট খুলতে মরিয়া তদন্তকারীরা।