সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্দায় দেখা গেল হজরত মহম্মদের জীবনবৃত্তান্ত। রবিবার নন্দনে প্রদর্শিত হল ইরানিয়ান পরিচালক মাজিদ মাজিদির ছবি ‘মহম্মদ: দ্য ম্যাসেঞ্জার অফ গড’। দীর্ঘ সাত বছর লেগেছে ছবিটি বানাতে। শুরু থেকেই ছবিটি নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর পর দর্শকের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে ছবিটি।
২০১৫ সালে মুক্তি পায় মাজিদ মাজিদির ছবি ‘মহম্মদ: দ্য ম্যাসেঞ্জার অফ গড’। পরিচালকের সঙ্গে ছবির চিত্রনাট্য লেখেন কাম্বুজিয়া পার্তোভি। মহম্মদের শৈশবের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ইরানের সিনেমাজগতে এটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছবি তৈরি নিয়ে সমস্যা হয়। সাত বছর ধরে কাজ করে শেষ করতে হয় ছবিটি। একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেছেন, ছবিটি ঐতিহাসিক। তাই জার্নিও ছিল ঐতিহাসিক। সেই কারণে ছবি করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু ইরানে ছবি তৈরি নিয়ে কোনও বাদ বিচার নেই। মহম্মদের জীবন নিয়ে ছবি। কিন্তু তার জন্য কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি পরিচালককে। ইরানে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[ সম্পর্কের স্বীকারোক্তি, বিয়ের কথা ঘোষণা করলেন বরুণ ]
ভারতে মাজিদির এই ছবিটি নিয়ে আগে বিতর্ক উঠেছে। ছবিটির উপর ভারতীয় মুসলিমদের একটি গোষ্ঠী ফতোয়া জারি করে। কিন্তু ইরানে পরিচালককে এসবের মুখোমুখি হতে হয়নি। উলটে ইরান অস্কারে পাঠায় এই ছবিটিকে। তবে এছাড়াও কিন্তু ‘মহম্মদ: দ্য ম্যাসেঞ্জার অফ গড’-এর সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র রয়েছে। এর সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান।
২৪ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবছর রেস্ট্রোস্প্রেকটিভ বিভাগে দেখানো হয়েছে ‘মহম্মদ: দ্য ম্যাসেঞ্জার অফ গড’। ছবিটি দেখে কলকাতা চলচ্চিত্র মহলের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। এক চলচ্চিত্র সমালোচক জানিয়েছেন, কলকাতা বলেই এই ছবির প্রদর্শন এত সহজ হয়েছে। পরিচালক শেখর দাস বলেছেন, মাজিদি সাধারণত এইসব ছবি বানান না। এগুলি উইলিয়াম ওয়েলার, ডগলাস ফেয়ারব্যাংকসের জ্যঁর। যদি ছবিটির একাধিকবার স্ত্রিনিং হত, তাহলে ভাল হত। সিনে সেন্ট্রালের জয়েন্ট সেক্রেটারি সজল দত্ত বলেছেন, ধর্মীয় স্তর তিনি বোঝেন না। কিন্তু সিনেমার দিক থেকে তাঁর ছবিটি ভাল লেগেছে। এটি অন্য ছবি থেকে অনেকটাই আলাদা।
[ ‘আমি ভাল বাবা, ভাল রোল মডেল নই’ ]
The post কেমন ছিলেন হজরত মহম্মদ? মাজিদির চোখ দিয়ে দেখল কলকাতা appeared first on Sangbad Pratidin.