সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার নবগঠিত মানবাধিকার শাখার দায়িত্ব পেলেন মেজর জেনারেল গৌতম চৌহান। এই প্রথম এই পদমর্যাদার আধিকারিককে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে সেনাবাহিনী সাফ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সুশিক্ষিত ও সর্বদা অনুশাসন মেনে চলা ভারতীয় ফৌজ সবসময় মানবাধিকার রক্ষায় তৎপর।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত সিয়াচেনে ভারতের সাফল্যের নেপথ্য নায়ক ‘বুল’, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর]
বৃহস্পতিবার প্রথম অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল হিউম্যান রাইটস হিসেবে দায়িত্ব নেন মেজর জেনারেল গৌতম চৌহান। ভারতীয় সেনার ভাইস চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে সাইনির অধীনে কাজ করবেন তিনি। সেনার (Indian Army) বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের মানিবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এই শাখা। বিষয়টিকে আরও পারদর্শী করে তুলতে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সেনার মানবাধিকার শাখায় একজন আইপিএস আধিকারিককে ডেপুটেশনে শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসএসপি অথবা এসপি পদমর্যাদার ওই পুলিশ আধিকারিক জওয়ানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় তদন্তে মদত করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসেই সেনার নিজস্ব মানবাধিকার শাখা গঠনের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে লালফিতের জটে আটকে ও শাখার প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হওয়ায় এতদিন পর সেনার মানবাধিকার শাখা কাজ শুরু করল। এর শীর্ষে থাকা সেনা আধিকারিক গৌতম চৌহান গোর্খা রাইফেলসে অফিসার ছিলেন। তারপর দেশের উত্তরপূর্বে একটি ব্রিগেডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মানবাধিকার শাখার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে সেনার সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জম্মু-কাশ্মীর, অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর-সহ দেশের বিভিন্ন সন্ত্রাস জর্জরিত এলাকায় লাগাতার জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকবার জওয়ানদের বিরুদ্ধে নিরীহদের হত্যা, ধর্ষণ-সহ বেশ কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে এসেছে। বিশেষ করে, মণিপুরে আফস্পার (Armed Forces Special Powers Act) বিরুদ্ধে ১৬ বছর ধরে ইরম শর্মিলার অনশন মানবাধিকারের বিষয়টিকে আরও তুলে ধরে।