সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত কেরলের সিপিএম বিধায়ক তথা অভিনেতা এম মুকেশকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। যদিও গ্রেপ্তারির পরই মুক্তি পেয়ে গেলেন তিনি। আসলে কেরলের ওই সিপিএম বিধায়ক ধর্ষণ মামলায় আগাম জামিন নিয়ে রেখেছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই মালয়ালি চলচ্চিত্র জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সিপিএম বিধায়ক তথা অভিনেতা মুকেশের। মুকেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক অভিনেত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে পুলিশ। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নিজেই কেরল সরকার গঠিত সিটের কাছে হাজিরা দেন। কেরল পুলিশ তাঁকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে এবং পরে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। আসলে গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় চলতি মাসের শুরুতেই স্থানীয় এক আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন তিনি। সেকারণেই তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়। সূত্রের খবর, প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়, তারপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ইস্তফার দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। যদিও দল তাঁর ইস্তফার দাবি খারিজ করে দিয়ে মুকেশের পাশেই দাঁড়ায়। সিপিএমের নেতা ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফের আহ্বায়ক ইডি জয়রাজন জানিয়ে দেন, “এর আগে কংগ্রেসের বিধায়ক এম ভিনসেন্ট এবং এলধোস কুন্নাপিলির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁরা কেউই ইস্তফা দেননি। আগে কংগ্রেস নেতারা পদত্যাগ করুন। তার পরে মুকেশের বিষয়টি নিয়েও ভাবা যাবে।”