বাবুল হক, মালদহ: স্কুলের শৌচাগারের ছাদ ভেঙে পড়ুয়ার মৃত্যুতে তোলপাড় মালদহের (Malda) মোথাবাড়ি। স্কুল ভাঙচুরের অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১৫ জনকে। পড়ুয়ার দেহ কবর দেওয়ার সময় মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এখনও উত্তপ্ত এলাকা। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ।
স্কুলের শৌচাগারের ছাদ এবং পাঁচিল ভেঙে মাথায় পড়ে গতকাল মৃত্যু হয় মালদহে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। জখম একজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মালদহের (Malda) মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা হাই স্কুলে। এই ঘটনায় শোকের পাশাপাশি ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলের পড়ুয়া থেকে গোটা এলাকাবাসী। স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অফিস ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের প্রায় সমস্ত সরকারি কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রাজ্য সড়কেও অবরোধ চলে। উত্তেজিত জনতার একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
[আরও পড়ুন: দাপট বাড়ছে ডেঙ্গুর, ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে সচেতনতা প্রচারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
বৃহস্পতিবার রাতভর তল্লাশিতে ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহে এলাকার ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে দেহ কবর দেওয়ার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। দীর্ঘক্ষণের পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এদিন মৃতের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দু’ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা। গোটা ঘটনার তদন্তে পাঁচ জনের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) শম্পা হাজরা।
প্রসঙ্গত, মৃত জিসান শেখের ইচ্ছে ছিল সে ডাক্তার হবে। সেই স্বপ্ন যে হঠাৎ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে তা ভাবতেই পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে জিসান ছিল সবচেয়ে ছোট। চার দাদা মুম্বইয়ে থাকেন। সেখানে তাঁরা শ্রমিকের কাজ করেন। জিসান শেখ ছোট থেকেই মেধাবী। বর্ধমানের আল-আমিন মিশনে সে পড়ত। সেখান থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে জিসান বিজ্ঞান নিয়ে বাঙ্গিটোলা হাই স্কুলে ভরতি হয়।