সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতার সময় দুই সঙ্গী সব আবরণ সরিয়ে রেখে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা যে না-মানুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তা কে ভেবেছিল? তবে বিষয়টা যেমন মনে হচ্ছে তেমন নয়। বরং আরও ‘নিষ্ঠুর’। সম্প্রতি এমনই এক খুদে মাকড়সার সন্ধান মিলল, যেখানে পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীকে ‘নগ্ন’ করতে চেয়ে তাদের শরীর থেকে ত্বকই খুলে নেয়!
‘আইসায়েন্স’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্র। অস্ট্রিয়ার এক বিজ্ঞানী দল ওই মাকড়সাদের উপরে গবেষণা করার সময় এমনটাই জানতে পেরেছেন। আকারে একেবারে বিন্দুবৎ মাকড়সাগুলির এমন কাণ্ড দেখে চমকে গিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা জানতে পেরেছেন, পুরুষ মাকড়সারা স্ত্রী মাকড়সাদের পাহারা দেয়। ১০ দিন বয়স হলেই তারা যৌনতায় সক্ষম হয়। কখন তারা তাদের সঙ্গে মিলিত হয়। আর এজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ত্রী মাকড়সাদের চারপাশে ঘুরে পাহারা দিয়ে অপেক্ষা করে পুরুষ মাকড়সারা।
[আরও পড়ুন: আদৌ রাশিয়া যাননি প্রিগোজিন, বেলারুশে গিয়েছিল বডি ডাবল! দাবি আমেরিকার]
কখন বোঝা যায় স্ত্রী মাকড়সারা শারীরিক ভাবে যৌনতায় সক্ষম হয়ে উঠেছে? তাদের শরীরের বহিঃত্বক রুপোলি হয়ে ওঠে এবং তার নীচে নতুন ত্বক গজাতে থাকে। এই নতুন ত্বক আসলে যৌনতার জন্য পরিণত হওয়ারই প্রতীক। এরপর কার্যতই অধৈর্য মাকড়সারা স্ত্রী মাকড়সাদের সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত করতে দ্রুত তাদের ত্বকটি উন্মোচিত করে ফেলে। আর তারপরই তারা তাদের যৌনাঙ্গটি স্ত্রী মাকড়সার শরীরে প্রবেশ করায়।
তবে বিজ্ঞানীরা এও দেখেছেন, বহু ক্ষেত্রে স্ত্রী মাকড়সারা নিজেরাই মাথার অংশের পুরনো ত্বক শরীর থেকে পরিত্যাগ করতে শুরু করে বহু ক্ষেত্রেই। আর তখন বাকি অংশগুলি দ্রুত তাদের শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে পুরুষ মাকড়সারা। পতঙ্গদের মধ্যে এই ধরনের ‘ভূতুড়ে’ যৌনতা আগেও দেখা গিয়েছে। তবে এই ক্ষুদে মাকড়সাদের এমন স্বভাবের কথা এই প্রথম জানা গেল।