ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সোমবারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। কিন্তু পরের দিনই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে বুদ্ধবাবুর (Buddhadeb Bhattacharya)। রক্তে আচমকাই কমে যায় অক্সিজেনের মাত্রা। যে কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এদিনই মীরা ভট্টাচার্যকে ফোন করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মীরাদেবীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান, তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন। খোঁজ নেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরও। করোনায় (Corona virus) আক্রান্ত হওয়ার পরেও যিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে আচমকা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় তাঁর। অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছিল ৮০-৮২-তে। শিথিল হয়ে যায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনা। তারপরই আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: কোকেন কাণ্ডে ধৃত রাকেশ সিংয়ের সঙ্গে রাজ্যপাল! ছবি পোস্ট করে ধনকড়কে তীব্র কটাক্ষ কল্যাণের]
পরে হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়, মিনিটে ৩ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। আপাতত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও পৌঁছেছে ৯২-এ। তবে তাঁর ফুসফুসে নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুদ্ধদেববাবুর জ্ঞান রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য ছ’জনের বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, বুদ্ধদেববাবুর সিটিস্ক্যানের পাশাপাশি রক্তের একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আরও স্পষ্ট হবে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতা দীর্ঘদিনের। সিওপিডি-র রোগী তিনি। সাইটোকাইন স্টর্ম নিয়েও চিন্তিত চিকিৎসকরা। মাস কয়েক আগেও হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতাল পৌঁছেছিলেন। এবার মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বুদ্ধদেববাবু। আক্রান্ত হয়েছিলেন স্ত্রীও। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আলিমুদ্দিন।