নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। স্বভাবতই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে চাঙ্গা কংগ্রেস শিবির। খুশি বিজেপি বিরোধীরাও। আর সবার প্রথম সেই খুশির হাওয়া দিল্লিতে পৌঁছে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি টুইট করে রাহুল গান্ধীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে INDIA জোটের শক্তি আরও বাড়ল বলে বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। রাহুল গান্ধী নিজেও সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর টুইট, ‘যা-ই হোক, ভারতের ঐতিহ্য রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।’
শুক্রবার দুপুরে আচমকাই খুশির হাওয়া রাজধানীর বিরোধী শিবিরে। ২০১৯ সালে কর্নাটকের কোলারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) কটাক্ষ করে রাহুল বলেছিলেন, “দুর্ভাগ্যজনক যে দেশের বড় বড় চোরেদের পদবি মোদি।” তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ ওই বক্তব্যের মধ্যে গোটা মোদি সমাজকেই অপমান করেছেন বলে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা করেন মামলাকারী পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাট (Surat)আদালত। পরদিনই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করে লোকসভার সেক্রেটারিয়েট। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সোনিয়াপুত্র। শুক্রবার স্বস্তি পেলেন তিনি।
[আরও পডু়ন: মোদি পদবি মামলার শাস্তিতে স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি রাহুল গান্ধীর]
সঙ্গে সঙ্গেই লোকসভা স্পিকারের কাছে রাহুলের সাংসদ পদ ফেরানোর আবেদন জানান সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আর সবার প্রথম নিজের দলের বাইরে রাহুলকে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। INDIA জোটের শক্তি আরও বাড়ল বলে প্রকাশ করেছেন তিনি।
টুইটে তৃণমূল সুপ্রিমোর স্পষ্ট বার্তা, এবার আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের পথে এগোবে INDIA জোট। তবে কংগ্রেস শিবিরে গুঞ্জন, রাহুলকে সামনে রেখেই এবার একজোট হবে বিরোধীরা। ফলে বিরোধী জোটের রাশ আসলে কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে এই মুহূর্তে একটা প্রশ্ন উঠেই গেল।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট]
রাহুলকে নিয়ে আবেগপ্রবণ টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গৌতম বুদ্ধর বাণী অনুসরণ করে তাঁর টুইট, সূর্য, চাঁদ এবং সত্য – এই তিনটি বিষয় কখনও চাপা থাকে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।