shono
Advertisement

‘১০ পয়সা দিয়েও সাহায্য করেনি কেন্দ্র’, গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার মর্যাদা নিয়ে সরব মমতা

নিজেদের খরচেই মুড়িগঙ্গায় ১০ হাজার কোটির ব্রিজ তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 03:03 PM Jan 04, 2023Updated: 05:36 PM Jan 04, 2023

গৌতম ব্রহ্ম: ৮ জানুয়ারি মেলা শুরু। তার আগে ফের বঞ্চনা উসকে দিয়ে গঙ্গাসাগরকে জাতীয় ইস্যু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বারবার অনুরোধ করেও গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হয়নি। কুম্ভ মেলার সব খরচ কেন্দ্র সরকার দেয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার পায়। আমাদের ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও কেউ সাহায্য করেনি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী এদিন গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন। সেখানে রাজ্য সরকারের খরচে তৈরি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। গঙ্গাসাগরের হেলিপ্যাড ময়দান থেকে তিনটি হেলিপ্যাড উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেন সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের ৪০ মিটার দীর্ঘ কাকদ্বীপের কামারহাট সেতু। রাজ্যের পাঁচটি তীর্থক্ষেত্রকে একত্রিত করে তৈরি ‘বাংলার মন্দিরে’রও সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে নালিশ শুভেন্দু-সুকান্তর, পালটা দিল তৃণমূল]

এরপরই মমতার আক্ষেপ, এখানে যা যা উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, সবটাই হচ্ছে রাজ্য সরকারের টাকায়। কেন্দ্রকে বারবার অনুরোধ করেও এই মেলাকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। সবরকম পরিকাঠামো আছে। কেন্দ্র চাইলেই এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করতে পারে। কুম্ভ মেলার (Kumbh Mela) সব খরচ উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন্দ্রের থেকে পায়। আমাদের সবটা নিজেদের করতে হয়।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগর মেলা এই ধরনের একমাত্র মেলা যেটা জলপথ পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতিবছর যাতায়াত মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ নদী পার হন। অন্য সব মেলায় কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আকাশপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে। আমরা এখানে আমাদের মতো ধাপে ধাপে করছি। বস্তুত, সাগরে যোগাযোগ সুগম করতে মুড়িগঙ্গার উপর একটা ব্রিজ দরকার। এই সেতুটি হলে সাগর আসতে আর কাকদ্বীপ লটএইটে ভেসেলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কলকাতা থেকে সড়কপথে যুক্ত হবে কপিলমুনির আশ্রম।

[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিল! বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]

মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্র এই ব্রিজ তৈরির ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। তিনি জানান, “মুড়িগঙ্গায় সেতুর প্রয়োজন। বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। শেষপর্যন্ত আমরা বাধ্য হয়ে চেষ্টা করছি নিজেদের মতো করে করার। ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ। আমরা নিজেদের মতো একটা ডিপিআর তৈরি করেছি। তবে একটু সময় লাগবে। এত বড় যজ্ঞ। তার সামগ্রী জোগাড় করতে সময় তো লাগবেই। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি ভারত সরকারকে কাজ হয়নি। আমরা আবারও অনুরোধ করব। নীতি আয়োগকেও অনুরোধ করব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার