গৌতম ব্রহ্ম: আমলাতন্ত্রের গেরোয় নিয়োগে বিলম্ব! যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, তিনি বলা সত্ত্বেও কেন বিভিন্ন দপ্তর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গড়িমসি করছে। নবান্ন সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে তিনি বিভাগীয় সচিবদের সতর্ক হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন। বলেন, ‘‘আইনি সমস্যায় কিছু চাকরি আমরা দিতে পারছি না। কিন্তু আমাদের হাতে যেগুলো আছে সেগুলোতে লোক নিন। দপ্তরগুলি কাজের গতি বাড়াক।’’
এদিন রাজারহাটে একটি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি’ তৈরির ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দেয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, ৭২.৩৩ একর জমিতে এই অত্যাধুনিক সিটি তৈরি করা হবে। যেখানে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বা পেশার মানুষদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। থাকবে ‘ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ’র ধাঁচে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। অর্থাৎ একদিকে দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, একই ক্যাম্পাসে। বেসরকারি উদ্যোগেই এই সিটি গড়ে উঠবে।
[আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে এশিয়া কাপের মূলপর্বে নেপাল, ঠাঁই হল ভারত ও পাকিস্তানের কঠিন গ্রুপে]
এদিন মৎস্য দপ্তর, দু’টি কলেজ-সহ একাধিক পদে নিয়োগের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন। এই পদগুলিও দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মৎস্য দপ্তরের অধীনে ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার পদে ৮১ জনকে নেওয়া হবে। মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে তিনজনকে, বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে কোষাধ্যক্ষ পদে এক জনকে নেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগণার শিশুরাম দাস কলেজ, কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজের একাধিক পদে নিয়োগের প্রস্তাব পেশ হয়েছে।
লিজ জমি নিয়েও এদিন বড় সিদ্ধান্ত হয় মন্ত্রিসভায়। রাজ্যের খাস জমি শিল্পের জন্যে লিজ দেওয়া হয়। সেই জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেন শিল্পপতিরা। বন্ধক রাখার জন্যে রাজ্য সরকারের থেকে ‘মর্টগেজ পারমিশন’ নিতে হয়। এতদিন এর জন্যে রাজ্যকে আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হত না। এবার দিতে হবে। ১ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফি সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। চলতি অর্থ বর্ষেই লাগু হবে এই নিয়ম। লিজে নেওয়া জমি অন্যকে হস্তান্তর করার ক্ষেত্রেও রাজ্যকে ফিজ দিতে হবে।