ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মেনে নিয়ে কি জোটের জট কাটাতে উদ্যোগী কংগ্রেস? মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে অন্তত ইতিবাচক ইঙ্গিতই মিলেছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় আসন ভাগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে ফের বাড়ল জটিলতা। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে দুটির বেশি আসন দিতে রাজি নন তিনি। অর্থাৎ আগের অবস্থানেই অনড় রইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মাঝেই গুয়াহাটি থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল বলেন, “আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত ও দলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালো সম্পর্ক। ছোটখাটো বিষয় থাকে। তবে এখানে (অসমে) বসে এনিয়ে কিছু বলার নেই। তবে সমস্যা যাই থাক, সেসব মিটে যাবে। ” মমতার সঙ্গে জোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। আসনরফা নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান রাহুল। কিন্তু এদিনই আসন ভাগ নিয়ে দলীয় বৈঠকে মমতা বলে দেন, “কংগ্রেসকে আমরা ২টো আসন ছাড়ব। ওরা ১০টা-১২টা বলছে। তবে আগেই এ নিয়ে কথা হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি তেমন হলে একা লড়ারও প্রস্তুতি থাকবে।”
[আরও পড়ুন: রামমন্দিরে ভক্তদের সুনামি! ভাঙল ব্যারিকেড, হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ]
একলা লড়াইয়ের ইঙ্গিতের পাশাপাশি বাংলায় দুটি আসনই কেন ছাড়তে রাজি তৃণমূল, সে যুক্তিও দেন মমতা। বুঝিয়ে দেন যে, কংগ্রেস দুটি আসন জিতেই রয়েছে। ফলে সেই দুটি আসনই ছাড়া হবে। তাছাড়া একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে তৃণমূলই রুখে দিয়েছিল। সুতরাং যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, তাদের গুরুত্ব দিতেই হবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগেও মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোট হলেও বাংলাকে তৃণমূল একাই সামলে নেবে। পরবর্তীতে দুটি আসন ছাড়তে রাজি হন। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের অবস্থান কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
তবে জোটের জট না কাটার আরও একটি কারণ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী ৩১ জানুয়ারি বঙ্গে প্রবেশ করবে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। ৩১ তারিখ মালদহ এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদে যাত্রা রাহুলের। আর ১ তারিখই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা। ফলে আদৌ তিনি রাহুলের ন্যায় যাত্রায় যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। সব মিলিয়ে জোটের জট অব্যাহত।