সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: UPSC’র সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের ‘ভোট সন্ত্রাস’ নিয়ে প্রশ্ন বিতর্কে এখনও সরগরম বিভিন্ন মহল। এ নিয়ে আলোচনা থামছেই না। সর্বভারতীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিষয়ই নয়, প্রশ্নপত্রে কৃষক বিক্ষোভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না – তা নিয়ে ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ লিখতে বলা হয়েছে। এসব নিয়ে আগেই তীব্র নিন্দা করেছিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদরা। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, ”এসব প্রশ্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আপত্তিকর। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রশ্ন করে UPSC পরীক্ষার্থীদের যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। এই প্রশ্নপত্র বিজেপির পছন্দ করে দেওয়া।”
CAPF-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলার ‘নির্বাচনী হিংসা’ নিয়ে ২০০ শব্দের একটি নিবন্ধ লিখতে বলা হয়েছে। প্রশ্নপত্রটি প্রকাশ্যে আসতেই সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষায় রাজনীতির রঙ লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বসানোর আগেই চাকরিপ্রার্থীদের বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হচ্ছে এবং সরকারপক্ষের প্রতি সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চলছে। বাংলায় ‘ভোট সন্ত্রাস’, কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি রাজনীতিতে পরিবারবাদ ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে কি না, তা নিয়েও ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন এসেছে CAPF-এর ওই পরীক্ষায়।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আক্রান্ত TMC যুব নেতাদের দেখতে ফের SSKM’এ Mamata, সঙ্গে Abhishek Banerjee]
এ নিয়ে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতেই তিনি ক্ষোভের সুরে বলে ওঠেন, ”তিনটি প্রশ্নই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আপত্তিকর। আমি বুঝি না, ইউপিএসসি-র মতো নিরপেক্ষ সংস্থা কীভাবে এই ধরনের প্রশ্ন করতে পারে! বিজেপির (BJP) পার্টি অফিসে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে। ইউপিএসসি-কে সম্মান করি। কিন্তু তাদেরও নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।” প্রশ্নপত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আপত্তির সুর আরও চড়িয়ে বলেন, ”এই প্রশ্ন দেখে আমি ব্যথিত। পরীক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষ এ নিয়ে আদালতে মামলা করতে পারে। জোর করে সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করবেন না। মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেবেন না।”