দেব গোস্বামী, বোলপুর: টানা বৃষ্টি, সেইসঙ্গে ডিভিসির লাগামহীন ছাড়া জল। জোড়া ফলায় প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। আবার নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় আগামী কয়েকদিন ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চাষের জমি, গ্রামের রাস্তা, কাঁচা বাড়ি। সেসব মেরামতের দায়িত্ব এবার স্থানীয় বিধায়কদের দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বোলপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠকের পর তিনি জানালেন, বিধায়ক তহবিলের টাকায় গ্রামীণ রাস্তা মেরামত ও তৈরির কাজ হবে।
বীরভূমের একাধিক এলাকায় এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি। লাভপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। দুদিনের জেলা সফরের শেষ দিনে বীরভূমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা জায়গা পরিদর্শন করে মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন। বিডিও, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবদের কার্যকরী নির্দেশ দেন। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে সমস্ত দিকনির্দেশ দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ফের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-কে দুষে তাঁর আক্রমণ, ''ডিভিসি জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে!''
বন্যায় ক্ষতি হওয়া পথঘাট, চাষের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন, তা জানান মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ রাস্তার কাজ এবার হবে বিধায়ক তহবিলের টাকা থেকে। ভেঙে পড়া স্কুলবাড়িরও সংস্কার হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ত্রাণশিবিরে দুর্গতদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফেও আলাদা করে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ভেঙে পড়া বাড়িগুলি মেরামত বা পুনর্গঠন করে দেবে রাজ্য সরকার। জানালেন, রাজ্যে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরির অর্থ দেবে ম্বরের প্রথম সপ্তাহেই কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।