ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কালীঘাটে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক থেকে সংসদীয় কমিটি সাজিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamta Banerjee)। সংসদে তৃণমূলের (TMC) গুরুত্বপূর্ণ পদে আগের জায়গায় থাকছেন বর্ষীয়ান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন। সুদীপ লোকসভার দলনেতা এবং ডেরেক রাজ্যসভার দলনেতাই থাকছেন। লোকসভার উপ দলনেতা অর্থাৎ ডেপুটি লিডার বারাসতের পুনর্নির্বাচিত সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রাজ্যসভায় ডেপুটি লিডারের দায়িত্ব সামলাবেন সাগরিকা ঘোষ। এছাড়া সংসদের দুই কক্ষে মুখ্য সচেতকদের নামও ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংসদে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব।
সংসদে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব
- সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- লোকসভার দলনেতা - সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
- উপ দলনেতা - কাকলি ঘোষ দস্তিদার
- চিফ হুইপ - কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- রাজ্যসভার দলনেতা - ডেরেক ও ব্রায়েন
- উপ দলনেতা - সাগরিকা ঘোষ
- চিফ হুইপ - নাদিমুল হক
শনিবার কালীঘাটে (Kalighat) জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল নেত্রী। নবীন-প্রবীণ নিয়ে এই সংসদীয় কমিটি গঠন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় সকলকেই কোনও না কোনও দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। সুদীপ, কল্যাণ, ডেরেক - এঁরা সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন আগেও। এবার নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল সাগরিকা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। সেখান থেকে এসব নাম ঘোষণার পাশাপাশি সংসদের রণকৌশলও ঠিক করে দেন তিনি। জানান, ''আমরা বসে থাকার জন্য সংসদে যাচ্ছি না। আমরা CAA, NRC বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হব। নিজেদের বকেয়া মেটানোর দাবি তুলব। তা মেটাতেই হবে।''
জয়ী সাংসদদের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়ির বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিণ্টু প্রধান।
[আরও পড়ুন: ‘কোনও কারচুপি হয়নি’, NEET-এ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওড়াল কর্তৃপক্ষ]
মমতার কথায়, ''বাংলার যা যা পাওনা আছে সেগুলো আমরা চাই আগে দিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের এবার শক্তি অনেক বেশি। এক, ডেরেক, দোলা, নাদিম, সাগরিকা যাবে হরিয়ানায় কিশানদের সঙ্গে দেখা করবে। তাঁদের ডেইলি ওয়েজ নিয়ে দাবি তুলবে। দুই, শেয়ার এত বেড়ে গেল কী করে? নিশ্চয়ই কিছু ডাল মে কালা। ভোটের দিন, ফলের দিন যা যা হয়েছে, এটা বড় স্ক্যাম। তদন্ত করতে হবে। আমরা দাবি তুলছি।''