shono
Advertisement

Breaking News

‘আঁচল ফেলে আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইব, দিল্লির কাছে নয়’, কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে তোপ মমতার

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের তরফে টাকা এলেও তা নগণ্য।
Posted: 06:58 PM Apr 13, 2023Updated: 07:03 PM Apr 13, 2023

গৌতম ব্রহ্ম: আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে বাংলার প্রাপ্তি শূন্যই থাকবে। বৃহস্পতিবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন বিকেলে আলিপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়াম উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন তিনি। তাঁর কথায়, ”আমি আমার আঁচল ফেলে আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইব কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে আমি যাব না।” কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যে এত সামাজিক প্রকল্পের কাজ যে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েই চালিয়ে যাবেন, বুঝিয়ে দিলেন তাও।

Advertisement

৪৪০ কোটি টাকা খরচ করে আলিপুরে (Alipore)তৈরি হয়েছে থ্রি টায়ার অডিটোরিয়াম ধনধান্য। তার আকার শঙ্খের মতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারই উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”শঙ্খটা ভেবেছিলাম এই কারণে যে, শঙ্খ হল মঙ্গলের প্রতীক। অর্ডিনারি করে কী হবে, তাই শঙ্খের আদলে তৈরি করা হল। চার একর জমিতে হয়েছে এটা, আয়ারল্যান্ড থেকে আনা ৩০ হাজার আলো।” যে সব মজুররা মিলে প্রেক্ষাগৃহটি তৈরি করেছেন, তাঁদের ধন্যাবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ধনধান্যের উদ্বোধনী মঞ্চে দেখা গেল বহু বিশিষ্টজনকে।

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আগামী সপ্তাহে জেলাশাসকদের বৈঠকে ডাকল কমিশন, মে মাসেই ভোট?]

এই মঞ্চ থেকে তিনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়ান। বলেন, ”শুনছি ২০২৪ পর্যন্ত কিছু দেবে না। না দিক। আমি আমার আঁচল ফেলে আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইব কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে আমি যাব না।যতটা পেরেছি নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে করেছি। আমার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন খুব ভাল। আমরা ভাঙব না, কার‌ও চাকরি খাব না। তাজমহলকেও উঠিয়ে না, ভিক্টোরিয়াকেও উঠিয়ে দেব না, ইতিহাসকে চেঞ্জ করে দেব না। ইতিহাস ইতিহাস‌ই।”

[আরও পড়ুন: মুঘল যুগ ও গান্ধীর পর এবার পাঠ্যপুস্তক থেকে মোছা হল আবুল কালাম আজাদের নাম!]

প্রসঙ্গত, একাধিক যৌথ প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ বকেয়া রাজ্যে। তা চেয়ে দিল্লিতে কম দরবার করেননি মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে সেই টাকা একটু একটু করে রাজ্যের ভাঁড়ারে দেওয়া হলেও, তা নগণ্য। আর যে ১০০ দিনের কাজে বিপুল টাকা বাকি, যা না পেলে কাজ চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর, সেই টাকা এখনও এসে পৌঁছয়নি। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি শুনেছেন, চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বাংলার জন্য কোনও টাকা দেবে না দিল্লি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement