shono
Advertisement

‘ডেকে অপমান করা হল মুখ্যমন্ত্রীদের’, মোদির করোনা বৈঠকে কথা বলতে না পেরে ক্ষুব্ধ মমতা

'উনি মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন', প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর।
Posted: 01:30 PM May 20, 2021Updated: 03:51 PM May 20, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের নতুন সরকার তৈরির পর প্রথমবার ভারচুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কিন্তু এই সাক্ষাৎ একেবারেই সুমধুর হল না। বরং আরও বাড়ল উভয়ের সংঘাত। করোনা (Coronavirus) সংক্রান্ত ভারচুয়াল বৈঠকে একটি কথাও বলার সুযোগ না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র অপমানিত বোধ করলেন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কেন এমন গাছাড়া ভাব? তা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”খুব খারাপ লেগেছে, কথাই বলতে দেননি। সৌজন্য বিনিময়ও করেননি। তাহলে কেন মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকলেন? ডেকে অপমান করলেন।” তাঁর মতে, এই বৈঠক ‘সুপারফ্লপ’, ‘ক্যাজুয়াল’।

Advertisement

দেশের কোভিড (COVID-19)  পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বৃহস্পতিবার বাংলা-সহ ১০ রাজ্যের মোট ৫৪ জন জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। এদিনের তালিকায় ছিলেন বাংলার ৯ জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। বললেন, ”আজ ভেবেছিলাম, ভ্যাকসিন (Corona vaccines) চাইব। কিন্তু বলারই সুযোগ পাইনি। উনি কিছু জানতে চাননি। রাজ্যে কীভাবে কোভিড মোকাবিলা হচ্ছে, ওষুধের কী খবর, কিছুই জানতে চাননি। উনি নিজের মতো কিছু বলে মুখ লুকিয়ে চলে গিয়েছেন। আমরা, মুখ্যমন্ত্রীরা অপমানিত বোধ করেছি। পুতুলের মতো বসেছিলাম।” যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো না মেনে কেন্দ্র কাজ করছে বলে অভিযোগের পাশাপাশি মমতা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রীর ঔদ্ধত্য দেখা গেল বৈঠকে। আমি চাই, সব মুখ্যমন্ত্রীরা আমার মতো প্রতিবাদ করুক।”

[আরও পড়ুন: আজ নারদ মামলার শুনানি নয় হাই কোর্টে, আরও একদিন জেলবন্দি ৪ হেভিওয়েট নেতা]

মূলত বিভিন্ন রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বুঝতে এবার কেন্দ্রের তরফে জোর দেওয়া হচ্ছে জেলাগুলিতে। তাই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ডাকা হচ্ছে জেলাশাসকদের। এদিন সেই বৈঠক থেকেই মোদি বার্তা দিয়েছেন, জেলাগুলোকে করোনা সচেতনতায় আরও দায়িত্ব নিতে। টিকাবণ্টনে জেলাস্তরের কর্মীদের কাজের সুযোগ আরও বেশি করে দেওয়া হোক। তাহলেই জেলার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। পাশাপাশি, টিকা নষ্ট করা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, টিকা নষ্ট করার অর্থ  নিজের রক্ষাকবচ থেকে একটি অস্ত্র বাদ দেওয়া। করোনা পরিস্থিতি সব কাজ কঠিন করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

[আরও পড়ুন: রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিবাদ, মহামারী আইনে মামলা দায়ের পুলিশের]

তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বলার কোনও সুযোগ না দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ। এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দাবিদাওয়া পেশ করে তা আদায় সচেষ্ট হন সর্বদা। কিন্তু এদিনের বৈঠকে কার্যত ‘পুতুলের মতো’ বসে থাকতে হয়েছে তাঁকে।  এর আগেও ভ্যাকসিন, অক্সিজেন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কোনও উত্তর পাননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকের ছবিও কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ আলোচনার পক্ষে মোটেই কাম্য নয়। মমতার এই অভিযোগ দুই সরকারের সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলল, তা বলাই বাহুল্য। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement