গৌতম ব্রহ্ম: সরকারি জমি জবরদখলকারীদের যে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই তৎপর প্রশাসন। বুধবারই গ্রেপ্তার হন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিক। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে বৈঠক থেকে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আরও একবার সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, "ডাবগ্রামে দেখেছেন জেলা সভাপতিকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। সরকারি জমি নিয়ে ২-৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিলাম। ওই জমিগুলো মিউটেশন, রেজিস্ট্রেশন পাবে না। ওখানে আরও কিছু জমি হস্তান্তর হয়েছে। এসজেডিএ থেকে তালিকা নাও। গত ৭ বছর কতটা আইনত হয়েছে কতটা নয়। কোনও পলিটিক্যাল পার্টি পুকুর ভরাট করে বাড়ি বানিয়েছে। ওই বাড়িটি আরএসএসের। ল্যান্ড রেকর্ড একবার দেখে নেওয়া হোক। বিক্রমগড়ে তো প্রায়ই শুনতে পাই। এটা কি ছেলের হাতের মোয়া?"
[আরও পড়ুন: উচ্ছেদ নয়, বিকল্প ভাবনা, হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, সোমবারের বৈঠকে সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করে দেন কমিটি। দখলদারি রুখতে মঙ্গলবার নবান্নের তরফে প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয় নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১. BLRO, DLRO অফিসের সামনে দালাল চক্রের ঘোরাফেরা বন্ধ করতে হবে।
২. সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে।
৩. সাইনবোর্ডে লিখতে হবে ‘এই জমির মালিক রাজ্য সরকার।’
৪. কিছুদিন অন্তর অন্তর নিয়মিত সরকারি জমি পরিদর্শন করতে হবে আধিকারিকদের।
৫. পরিদর্শনের সময় প্রতিনিয়ত জমি ও জলাশয়ের ছবি বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে তুলে রাখতে হবে।
এই নির্দেশিকার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের পাশাপাশি জাল নথিপত্র তৈরি এবং খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।