ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। দলকে শক্তিশালী করতে হলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একত্রিত হয়ে লড়তে হবে। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। “আপনাদের আমাকে কথা দিতে হবে, পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল একটাই, তৃণমূল। চিহ্নটা জোড়াফুল।” বুধবার কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন মমতা।
একুশের ভোটে রাজ্যে বিপুল শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর দল বহরে অনেকটা বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কোনও কোনও জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদলকে। নেতাদের মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসা নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে। তৃণমূল যখন বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে উঠে আসছে, তখন দলের অন্দরে কোনওরকম বিভ্রান্তি বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জায়গা নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর বার্তা, “পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল একটাই, তৃণমূল। চিহ্নটা জোড়াফুল। আমি কী পেলাম সেটা কাজ না। কী দিলাম সেটা কাজ। একে বাদ দেব, ওকে বাদ দেব, এটা হবে না। শুধু নিজের নিজের করে লাভ নেই। তৃণমূলে একটাই গ্রুপ।”
[আরও পড়ুন: ‘ঘোড়ার পাল!’, তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে ধনকড়কে তীব্র আক্রমণ মমতার]
সর্বভারতীয় স্তরের পাশাপাশি আগামিদিনে বাংলায় দলের শক্তি আরও বাড়াতে চান মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ যদি উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তাহলে তাঁকে দলে স্বাগত জানাতে হবে। মমতা এদিন বলেন, ”সাত-আট জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে চায়। আসুক। এসে কাজ করতে হবে। জোর করে আমরা কাউকে নেব না।” অর্থাৎ, বিজেপি বিধায়কদের জন্য তৃণমূলের রাস্তা একপ্রকার খুলে দিলেন মমতা। নেত্রীর বার্তা, রাজ্যে দলকে বহরে বাড়াতে হবে। সেজন্য অন্য দলের নেতারা যোগ দিতে চাইলে, তাঁদের স্বাগত জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি চু কিতকিতের দল’, তীব্র ভর্ৎসনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
বুধবার দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের দলের সুপ্রিমো নির্বাচিত হয়েছেন মমতা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনও গঠন না হলেও কাজ চালানোর জন্য কয়েকজনের উপর দলের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা এদিন বলেন, “অভিষেক জেনারেল সেক্রেটারি থাকবে। সুব্রত বক্সি (Subrata Baksi) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সঙ্গে পার্থ, অরূপ, চন্দ্রিমা, যশবন্ত সিনহারা সঙ্গে থাকবে। পরে বাকি কমিটি বলে দেব। আপাতত কাজ চালানোর জন্য এটা করে দিলাম।”