সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতি আয়োগের বৈঠক শুরুর ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে ওয়াকআউট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে বঞ্চনার প্রসঙ্গে কথা শুরু করতেই থামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক। বৈঠক থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি বলা শুরু করতেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা খুব অপমানজনক। আর কোনওদিন বৈঠকে যাব না।"
গত মঙ্গলবার তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বার বার তৃণমূলের তরফে বাজেটের বিরোধিতা করা হয়। শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও উঠে আসে বাজেট বঞ্চনার কথা। মমতা বৈঠক থেকে বেরিয়ে আরও বলেন, "বাজেটে কিছু নেই, জিরো। বৈষম্য করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোও এটা কী সম্ভব? সকলের দিকে নজর দিতে হবে। এভাবে সরকার চলে না। একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। এসব বলতেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ৫ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত অপমানজনক। আর কোনওদিন বৈঠকে অংশ নেব না। এনডিএ শরিকদের বেশিক্ষণ বলতে সময় দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রবাবু নায়ড়ুকে ২০ মিনিট কথা বলতে সময় দেওয়া হয়।" এদিনের বৈঠকে প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে আনার দাবি জানান মমতা। তাঁর বক্তব্য, নীতি আয়োগের সেই অর্থে নীতি লাগু করার আর্থিক ক্ষমতা নেই। যা যোজনা কমিশনের ছিল। ফলে নীতিমালা তৈরি হলেও তা কী করে লাগু করবে নীতি আয়োগ, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: ফের বাধা রাহুলের শুটিংয়ে, সোমবার থেকে ফ্লোর বয়কটের হুঁশিয়ারি টলি পরিচালকদের]
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে নীতি আয়োগের বৈঠক শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র সাত মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বয়কট করেছিলেন। তবে যোগ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "দেশের স্বার্থে, রাজ্যের স্বার্থে", তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন বলেই জানান। ঘণ্টাদুয়েক পর অবশ্য বৈঠক ওয়াকআউট করেন মমতা। শুক্রবারই মমতা বলেছিলেন, বৈঠকে বলতে দেওয়া না হলে ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন। শনিবার 'অপমানিত' হয়ে সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা। আর কোনওদিন বৈঠকে অংশ নেবেন না বলেও জানান।