সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের ‘দরজা’ খুলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! যারা দলে যোগ দিতে চাইবেন তাঁদের নিয়ে নিন। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মেগা সভা থেকে জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী। তবে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর অনুমতি নিতে হবে। তিনি আরও জানান, অভিষেকের চোখ থেকে রক্ত বেরিয়েছে। অসুস্থ। উনি আপাতত বিশ্রামে থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন মমতা।
তিন মাস পর লোকসভা নির্বাচন। এদিনের সভা থেকে কার্যত সেই ভোটের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। একদিকে যেমন তীব্রভাবে বিজেপি এবং সিপিএমকে বিঁধলেন তেমনই সংগঠন মজবুত করার ব্লু প্রিন্টও দিলেন তিনি। একইসঙ্গে মমতা জানালেন, অন্য দলের ‘ভালো’ মানুষরা যদি তৃণমূলে আসতে চান, তাহলে অবিলম্বে তাঁদের দলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে সুব্রত বক্সীর। এর পরই অভিষেকের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান মমতা। ইঙ্গিত দেন আপাতত বিশ্রামে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
[আরও পড়ুন: ‘ভেবেছিল মহুয়াকে দল থেকে তাড়িয়ে দেব…’, প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা]
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতাদের বলতে শোনা যায়, যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন তাঁদের আর ফেরানো হবে না। বা অন্য দল থেকে কেউ আসতে চাইলে দরজা বন্ধ রাখবে ঘাসফুল শিবির। যদিও এর পর অনেকেই ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ শামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অভিষেক একাধিকবার বলেছেন, তৃণমূল দরজা খুললেন বিরোধী দলগুলি উঠে যাবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে, এদিন সেই ‘আগল’ই খুলে দিলেন মমতা। ফলে আগামিদিনে বহু দলবদলের সাক্ষী থাকতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতি। আর সেই সমস্ত বদলের ‘ফিল্টার’ হিসেবে কাজ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেবারে প্রথম দিকের সঙ্গী বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত বক্সী।
একইসঙ্গে দলের পরবর্তী কর্মসূচিও ঠিক করে দেন তৃণমূলের সভানেত্রী। বঞ্চিতদের লড়াই করার ডাক দিয়েছেন তিনি। মমতার কথায়, “১০০ দিনের টাকা দাও নয় বাংলা থেকে বিদায় নাও। ২৮, ২৯, ৩০ নভেম্বর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে দুঘণ্টা করে ধরনা দেবেন। ২ এবং ৩ ডিসেম্বর বুথে বুথে মিছিল করবেন। ছাত্র-যুব-তপশিলি,রাজবংশী সবাই মিলে একসঙ্গে বুথে বুথে মিছিল।” রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে দিল্লি যাওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, “ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ চলবে। আমি দিল্লি যাব। সব সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সময় চাইব। সময় দিলে ভালো। না হলে রাস্তা, রাস্তা দেখাবে। যদি আমাদের পেটায় পেটাবে।” একইসঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, “অনেক মার খেয়েছি সিপিএমের কাছে। ওটা আমাদের শক্তি বাড়ায়।”