সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু এ রাজ্যের বাসিন্দারাই নন, পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের আগে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে তাঁর সরকার এবার রেশন পৌঁছে দেবে দুয়ারে। কাউকে রেশন দোকানে গিয়ে, ডিজিটাল কার্ড দেখিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে রেশন তুলতে হবে না। ঘরেই পৌঁছে যাবে চাল, আটা। যেমন কথা, তেমনই কাজ। ভোটে জিতে সরকার গঠনের কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের তরফে প্রকল্প বাস্তবায়নের তৎপরতা শুরু করা হয়। মে মাসে পরীক্ষামূলকভাবে ঝাড়গ্রামের ৩৫ টি পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী। যতই তা পরীক্ষামূলকভাবে হোক, এভাবে ঘরের সামনে রেশন পেয়ে কার্যত আপ্লুত দরিদ্র মানুষজন। তবে সকলেরই মনে প্রশ্ন ছিল, কবে থেকে শুরু হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘দুয়ারে রেশন’। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকেই সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৬ নভেম্বর অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিনে শুরু হয় ‘দুয়ারে রেশন’।
[আরও পড়ুন: COVID-19: আপাতত নয় Local Train, কমছে Night Curfew-এর সময়, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা ‘এক দেশ এক রেশন’ প্রকল্পের আওতায় থাকলে তারাও ‘দুয়ারে রেশনে’র সুবিধা পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে ওই ব্যক্তি অন্যরাজ্য থেকে রেশন নিচ্ছেন না। উল্লেখ্য, এদিন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে আবেদনের নিয়ম কানুনও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এবার দুয়ারে সরকারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আলাদা ক্যাম্প থাকছে। সেখান থেকে বিলি হবে ফর্ম। ফর্মে থাকবে ইউনিক নম্বর। সেই নম্বর নথিভুক্ত হবে সরকারের কাছে।