সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছিলেন। এবার রাজ্যপালকেও রেয়াত করলেন না। শনিবার নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। পাল্টা আক্রমণ করে টুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, কেন্দ্রের সুরে সুর মিলিয়েই কথা বলছেন রাজ্যপাল।

সেনাকে সামনে রেখে এই মুহূর্তে মোদি-মমতা সংঘাত তুঙ্গে। কেন রাজ্যকে অন্ধকারে সেনা নামানো হল, তা নিয়ে রুষ্ট মমতা। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে প্রায় ৩০ ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন নিজের সচিবালয়ে। তারপরেও অবশ্য ক্ষান্ত হননি। সংসদে যেমন ঝড় তুলছেন শাসকদলের সাংসদরা। তেমনই মমতা নিজেও এ বিষয়ে আইনি পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেনা রাজ্য থেকে টাকা তুলছেন বলেও মারাত্মক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনাকে নিয়ে এই দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতেই শনিবার কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নাম না করে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। জানান, সেনার মতো দায়িত্বশীল সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে সবকিছু খতিয়ে দেখা উচিত। কোনওভাবেই সেনার মর্যাদা খাটো করা ঠিক নয়। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই টুইট করে পাল্টা জবাব দেন মমতা। জানান, রাজ্যপাল কেন্দ্রের সুরে সুর মিলিয়েই কথা বলছেন। গত আট দিন এ রাজ্যে ছিলেনই না তিনি। আক্রমণের মাত্রা আরও একধাপ চড়িয়ে মমতার তোপ, কোনও মন্তব্য করার আগে সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখা উচিত ছিল ওঁর। রাজ্যপালের এই অবস্থান দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলেই ব্যাখ্যা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত সেনার রুটিন মহড়া নিয়ে গোড়া থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন মমতা। তাঁর মতে, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে এ কাজ করা উচিত হয়নি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেকে সেনাকে ব্যবহার করার অভিযোগ করেন তিনি। নোট বাতিলের প্রতিবাদে মানুষের স্বার্থে তিনি কথা বলছেন বলেই বাংলার উপর এই আক্রমণ নেমে আসছে বলে দাবি মমতার। সেনার তরফে অবশ্য জানানো হয়, এ ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে চিঠি চালাচালি হয়েছিল। তা মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। বরং রাজ্যের দাবি, নবান্নর মতো জায়গার সামনে সেনা তল্লাশি চালানোয় আপত্তিই জানিয়েছিল পুলিশ। সেনাকে মধ্যিখানে রেখেই কেন্দ্র বিরোধিতায় নতুন করে আসরে নেমেছিলেন মমতা। রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতার আক্রমণে তা নতুন মাত্রা পেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
The post কেন্দ্রের স্বার্থ রক্ষা করছেন রাজ্যপাল, আক্রমণ মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.