শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: সমকামী সম্পর্কের জের! তরুণীর গোপনাঙ্গে গরম শাবলের ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বান্ধবীর জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার আন্ধুয়া বেলাইপাড়ায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাসিন্দা ওই তরুণী। জানা গিয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর রাতে এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা যুবতী। রাতে সেখানেই ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় দুই যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁদের মারধর করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় একজনের গোপনাঙ্গে লোহার শাবল গরম করে ছেঁকা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার দুদিন পর নির্যাতিতার বাড়ির তরফ থেকে সাহেব শেখ ও কদম মোল্লা নামে অভিযোগ দায়ের করে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বান্ধবীর নিকট আত্মীয় অভিযুক্ত এক যুবক। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে দার্জিলিংয়ে আসছে সার্বিয়ান বাঘ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামলেই আগমন!]
কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে নির্যাতিতা যুবতী ও তাঁর বান্ধবীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে জামাইবাবু সাহেব শেখ। সেই সময় সাহেব শেখ বিষয়টি তার আত্মীয় কদম মোল্লাকে জানায়। এরপরই দুজন মিলে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ঘরে। অভিযোগ, সাহেব ও কদম মোল্লা লোহার শাবল গরম করে শ্যালিকার বান্ধবীর গোপনাঙ্গে ছেঁকা দেন। যদিও নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে ‘সমকামী’ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ধর্ষণে বাধা দেওয়ার জন্য সাহেব শেখ ও কদম মোল্লা দু’জন নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতিতা সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় পুলিশে অভিযোগ জানাতে বিলম্ব হয়েছে বলে তাদের দাবি।
অভিযোগ পাওয়ার পরই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। নির্যাতিতা যুবতীর বান্ধবীর জামাইবাবু সাহেব শেখকে ভোররাতে সাগরদিঘি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।