অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসতের মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার অশোকনগরেও! যুবকের দেহ উদ্ধারে উঠল খুনের অভিযোগ। ভাই এবং প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। এমনই অভিযোগে শনিবার রাতে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন পরিবার এবং স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে অশোকনগরের শিমুলতলা এলাকায়। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। জনরোষের মুখে পড়ে মৃতের স্ত্রী সবিতা এবং শ্যালক-সহ সবিতার প্রেমিককে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।
মৃতের নাম হারাধন রায় (৩৫)। বাড়ি অশোকনগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলা এলাকায়। কয়েক বছর আগে হারাধনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সবিতার। হারাধন পেশায় দিনমজুর। তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবিতা বারাসতে একটি পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই সবিতা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরমে ওঠে। অশান্তি মেটাতে এলাকায় সালিশি সভাও বসে। পরে সবিতা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: ফের CAA অস্ত্রে শান! লোকসভার আগেই লাগু হবে নাগরিকত্ব আইন, বড় ঘোষণা শাহর]
অন্যদিকে, শ্রমিকের কাজ নিয়ে মাস তিনেক আগে ওড়িশায় চলে যান হারাধন। পরিবারের দাবি, সম্প্রতি সবিতা ফোন করে একসঙ্গে থাকবেন বলে অশোকনগরে চলে আসতে বলেন স্বামীকে। স্ত্রীর কথা শুনে এক সপ্তাহ আগে ফেরেন হারাধন। বারাসতে ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। শনিবার সকালে বারাসতের নপাড়ায় রেলের কারশেড এলাকার রেললাইনের ধার থেকে হারাধন রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে বারাসতের রেল পুলিশ। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে বারাসতে এসে দেহ শনাক্ত করেন হারাধন রায়ের পরিবার।
শনিবার রাতে দেহ অশোকনগরের শিমুলতলায় পৌঁছতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ভাই এবং প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্ত্রী সবিতাই খুন করেছে হারাধনকে, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার এনং স্থানীয়রা।