সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার নুহতে হিংসার ঘটনায় কয়েক মাস আগে জামিন পেয়েছেন স্বঘোষিত গোরক্ষক বিট্টু বজরঙ্গি (Bittu Bajrangi)। জেলমুক্তির পরই ফের স্বমহিমায় দেখা গেল তাঁকে। সম্প্রতি এক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বিট্টুকে দেখা যাচ্ছে পুলিশের (Police) সামনেই এক যুবককে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে। এই ঘটনার সময় বিট্টুকে আটকানো তো দূরের কথা পাশে দাঁড়িয়ে বরং তাঁকে মারতে উৎসাহ দিচ্ছেন ওই পুলিশ কর্মী। এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ভিডিও গত ১ এপ্রিলের। যে ব্যক্তিকে মারতে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে তিনি ফরিদাবাদের সরুরপুর নিবাসী শামু। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যৌন নির্যাতন করার উদ্দেশে চকলেটের লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী দুই নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে আনেন তিনি। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়ায় শামুকে হাতেনাতে ধরা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বজরং দলের সদস্যরা। সেখান থেকে শামুকে গণপিটুনি দিতে দিতে নিয়ে আসা হয় বজরং দলের নেতা বিট্টুর বাড়িতে। এরপর সেখানেই বিট্টুকে লাঠি দিয়ে মারধোর দিতে দেখা যায় বিট্টুকে।
পুলিশের সামনেই যুবককে মার বিট্টুর।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের নেতাদের হয়ে দালালি!’ পুলিশকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি সৌমিত্রর]
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শামুকে টানতে টানতে নিয়ে আসছে বজরং দলের সদস্যরা। ঘরের ভিতর বসে রয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। এরপর বজরঙ্গির সামনে হাজির করা হয় শামুকে। এরপর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লাঠি দিয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে এলোপাথাড়ি মারছেন বিট্টু। পাশে দাঁড়িয়ে আটকানো তো দূরের কথা বরং বিট্টুকে মারতে উৎসাহ দিতে দেখা যায় ওই পুলিশ কর্মীকে। ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, পুলিশের সামনেই একজন ব্যক্তি আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, তা দেখেও আটকানো তো দূরের কথা বরং উৎসাহ দিচ্ছেন খোদ পুলিশ কর্মী। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, আমরা ওই ব্যক্তির খোঁজ করছি। যদি তিনি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করতে চান সেক্ষেত্রে উপযুক্ত তদন্ত করা হবে। যদি তিনি অভিযোগ না করেন সেক্ষেত্রে ওই ভিডিও মাধ্যমেই অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: আগুনে গরমে পুড়বে গোটা দেশ, এপ্রিল-জুনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা মৌসম ভবনের]
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই হরিয়ানার নুহতে এক ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সেই ধর্মীয় হিংসায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন স্বঘোষিত গোরক্ষক এই বিট্টু বজরঙ্গি। তাঁর হুমকি ভিডিও ভাইরালও সোশাল মিডিয়ায়। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিট্টুকে। যদিও সম্প্রতি সেই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিযুক্ত। তবে জেলমুক্তির পর ফের স্বমহিমায় বজরং নেতা।