টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভালোবাসাকে পরিণতি দিতে বিয়ে করলেও সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের কয়েকঘণ্টা পরেই ‘দ্বিতীয় বিয়ে’ অস্বীকার করেছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। কিন্তু তাতে কী! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই ‘নতুন স্ত্রী’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ কৃষ্ণ কুণ্ডু। তাঁর অভিযোগ, প্রথম স্বামী ভুল পথে চালনা করছে চন্দনাকে।
গত সপ্তাহেই স্বামী, সন্তানকে ছেড়ে গাড়িচালককে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন শালতোড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউরি (Chandana Bauri)। এ নিয়ে সব মহলেই জোর চর্চা চলেছে। তবে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। এরপরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন চন্দনার ‘দ্বিতীয় স্বামী’ তথা গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডু। কয়েকদিন ভরতি থাকার পর মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই কৃষ্ণ বললেন, “চন্দনা খুব ভাল মেয়ে। ওকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ফ্যান নিয়ে বচসার জের! ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে যুবককে মারধরের অভিযোগ অশোকনগরের TMC নেতার বিরুদ্ধে]
হাসপাতাল থেকে বেরনোর পর চন্দনার প্রথম স্বামী শ্রাবণ বাউরি, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও ছাতনার বিধায়ককে তুলোধোনা করলেন কৃষ্ণ। তাঁর কীর্তিকলাপ ফাঁসের হুঁশিয়ারির দিলেন। ফেসবুকে আগেই চন্দনার স্বামী ও ছাতনার বিধায়ককে আক্রমণ করেছেন তিনি। ঠিক কী লিখেছিলেন কৃ্ষ্ণ? তিনি লেখেন, “ছাতনা বিধানসভার এমএলএ সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় আমাকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেবে বলেছে। আমি জেলা সভাপতিকে জানাই, দাদা আমাকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত হচ্ছে। শালতোড়ায় সংগঠন বলে কিছু নেই, সব শেষ করে দিয়েছে।”
শ্রাবণ ও ছাতনার বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কৃষ্ণ? জানা গিয়েছে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ধীরে ধীরে কৃষ্ণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে চন্দনার। বিষয়টি বুঝতে পেরেই প্রতিবাদ করেছিলেন শ্রাবণ ও দলের বেশ কয়েকজন। ফলে বিচ্ছেদের আশঙ্কা জাঁকিয়ে বসেছিল প্রেমিক যুগলের মনে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এদিকে স্বামীর চাপেই দ্বিতীয় বিয়ে অস্বীকার করছে চন্দনা, এমনটাই দাবি কৃষ্ণের। সব মিলিয়ে শ্রাবণ ও বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই যুবক।