অভিরূপ দাস: প্যান্ট কেন হাঁটুর উপরে? তাতেই বাঁধলো গন্ডোগোল। মিলল না করোনা টিকা । রে রে করে উঠলেন টিকাকেন্দ্রের লোকজনরা। মুখ ঝামটা দিয়ে বের করে দেওয়া হল যুবককে। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটল দক্ষিণ কলকাতার বোড়াল পুরসভায়। শুক্রবার ভ্যাকসিনের কুপন নিয়ে সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অফিসে গিয়েছিলেন শীর্ষনাথ পণ্ডিত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। বোড়ালের সর্দারপাড়ায় বাড়ি যুবকের। টিকাকেন্দ্র বাড়ির কাছেই হওয়ায় হাফপ্যান্ট পরেই টিকা নিতে গিয়েছিলেন যুবক। অভিযোগ, হাফপ্যান্ট পরিহিত অবস্থায় যুবককে দেখেই রে রে করে ওঠেন সোনারপুর রাজপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মীরা। তাঁরা জানায় হাফ প্যান্ট পরে এখানে প্রবেশের অনুমতি নেই! সেই অনুসারে, একটি নোটিশও দেখানো হয় শীর্ষনাথকে। যেখানে লেখা হাফপ্যান্ট পরে প্রবেশের অনুমতি নেই।
পুরসভার কর্মীরা জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগেই রাজপুর সোনারপুর পুরসভায় পোশাক ফতোয়া তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে সেসময় বিতর্কও হয়েছিল। দু’বছর আগে পুরসভার রাজপুর দফতরে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, অশোভন বা দৃষ্টিকটূ পোশাক পরে পুরসভায় প্রবেশ করা যাবে না। নোটিসের নীচে কোনও আধিকারিকের সই ছিল না। যদিও এই নোটিস প্রসঙ্গে পুর প্রশাসকের দাবি, পুরসভার তরফেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কেন এমন তালিবানি ফতোয়া? পুর প্রশাসকের দাবি, অনেকেই কাজের জন্য আসেন পুরসভায়। তাঁদের নানারকম পোশাক। এমন বিজাতীয় পোশাকের জন্য অনেকের সঙ্গে বিবাদও হয় পুর কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে সুখবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই বাড়ছে মেট্রো পরিষেবার সময়সীমা]
কিন্তু সামান্য এই কারণে টিকা না দেওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হাফ প্যান্ট পরা থাকলে টিকা মিলবে না, এমন কোনও নিয়ম নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও এরকম কোনও আইন তৈরি করেনি। প্রশ্ন উঠছে কিভাবে এরকম পোশাক ফতোয়া জারি করল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার আধিকারিকরা? ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর গৌরহরি দাস জানিয়েছেন, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি এই মুহূর্তে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নই। আমি থাকতে পুরসভায় এমন কোনও নিয়ম ছিল না। কোনও দিন কেউ হাফ প্যান্ট পরে আসেওনি। তবে ওইদিন টিকা পেয়েছেন যুবকের মা।