কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: বাইক চালিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে ডায়গনস্টিক সেন্টারে এসেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ইকো করাতে ঢুকেই মৃত্যু ব্যক্তির। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় দেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ফেলে আসা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহরমপুরের ডায়গনস্টিক সেন্টারে ব্যাপক উত্তেজনা।
মৃত বছর পঁয়তাল্লিশের প্রণব কুমার মণ্ডল, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার নবদুর্গা গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার বাইক চালিয়ে বহরমপুরে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে যান তিনি। ইসিজি-সহ বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন প্রণব কুমার মণ্ডল। ইকো করতে ঢোকার সময়েও সুস্থ ছিলেন। ঢোকার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুও হয় তাঁর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘আনক্লেমড বডি’ বলে জানিয়ে প্রণববাবুর দেহ ল্যাবের কর্মীরা ফেলে রেখে আসেন।
[আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, বেআইনি নির্মাণ মামলায় কড়া হাই কোর্ট]
প্রণববাবুর পরিবারের আরও অভিযোগ, ওই ঘটনার কথা ডায়গনস্টিক সেন্টারের তরফে প্রথমে অস্বীকার করা হয়। বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এসে জানতে পারে, ওই ব্যক্তি ল্যাবে আসেন। এবং সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়। ওই ল্যাবের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতের বাড়ির লোকজন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।